শরতের আগমনে হাসছে কাশফুল। স্বচ্ছ নীল আকাশে সাদা মেঘ, মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ ও সাদা কাশফুলে ভরপুর। গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাকালেই দেখা যাবে বাতাসে দোল খায় সাদা কাশবন।
পাশাপাশি শিউলি ফুলও ফুটতে শুরু করেছে। গাছে গাছে শিউলি ফুলের সুবাস, আকাশে গুচ্ছ গুচ্ছ কাশফুল ও সাদা মেঘের ভেলা মন কেড়ে নেয়। তাই তো শরৎকে বলা হয় শুভ্রতার প্রতীক। শরতের সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গ কাশফুল। যা প্রকৃতিতে শুধুই মুগ্ধতা ছড়ায়। সেই শরতের কাশফুলে মুগ্ধ হয়েছে বশেমুরবিপ্রবি ক্যাম্পাস।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা নেই বললেই চলে। তবে এখন শরতের আগমনে ক্যাম্পাসটি কাশফুলে ভরে গেছে। প্রাণহীন ক্যাম্পাসকে প্রাণবন্ত করে তুলতে কাশফুল। ক্যাম্পাসের ভেতরের রাস্তার দু’ধারে, খেলার মাঠে, লেকপাড়ে, আইন চত্বরে, কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে, বাঁধন চত্বরে, হলগুলোর আশেপাশে কাশফুলের দেখা মেলে।
ক্যাম্পাসের দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠের আশেপাশে ও লেকপাড়ের দু’পাশে কাশফুলের সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে শিক্ষার্থীসহ ভ্রমণপিপাসুদের। ইতোমধ্যে কাশফুলের ছোঁয়া পেতে দর্শনার্থীরাও আসছেন। তারা অনুভূতিগুলো ক্যামেরায় বন্দি করতে ভোলেন না। এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সবার মন ছুঁয়ে যায়।
তবে প্রতিবছরের মত দর্শনার্থী নেই। সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে লেকপাড়ে আগের মত ভিড় নেই। কেউ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে যায় না, কেউ প্রিয়তমার জন্য ফুল নিতে আসে না। তবুও যারা এর মধ্যে ঘুরতে আসছেন; তারা দিনভর ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করছেন।
লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের সময় যেন থমকে গেছে করোনার কারণে। কিন্তু প্রকৃতি থেমে নেই, এসেছে নতুন সাজ। দিন শেষে শরতের সাদা মেঘ আর কাশফুলের শুভ্রতায় নিজেদের মনকে শুভ্র করি।’
ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সিনথিয়া সুমি বলেন, ‘শরতের কাশফুল আমার শৈশবের স্মৃতিগুলোকে বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়। তবে ক্যাম্পাসের কাশফুলের মধ্যে রয়েছে রোমাঞ্চকর অনুভূতি। যা দেখে মন ভালো হয়ে যায়। প্রাণের ক্যাম্পাসের এ দৃশ্য আমাকে মুগ্ধ করে।’
এসইউ/এএ/এমকেএইচ