উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটারদের উপস্থিতিতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসাররা বলেছেন, ৬৫ থেকে ৭৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।
একটি কেন্দ্রে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) তৈয়বুর রহমানের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলেও তা সার্বিক ভোটে কোনো প্রভাব পড়েনি। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে পৌরসভার ঝাউদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের বাইরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অন্তত দুইজন আহত হন। তারা হলেন- কাজীপাড়া গ্রামের আমানত আলী (৪৫) ও বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আলাউদ্দিন (৫৫)। এরমধ্যে আলাউদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এছাড়া পৌরসভার বাকি ১৪ কেন্দ্রে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
তবে শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার এক নারী এজেন্টের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুতুল নামের ওই নারীকে সার্বক্ষণিক ভোট দেয়ার গোপন কক্ষে প্রবেশ করে আগত ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে।
নির্বাচনে সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি আরও বাড়তে থাকে। ভোটগ্রহণের প্রথম থেকেই নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি দেখা যায়। তবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নিতে সকালে কিছুটা দেরি হওয়ায় ভোটাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কয়েকজন কর্মজীবী মানুষকে ভোট না দিয়ে চলে যেতে দেখা যায়।
নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, কাউন্সিলর পদে ৩৬ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নয়টি ওয়ার্ডের ২৮ হাজার ৬৩২ জন ভোটার ১৫ কেন্দ্রের ৯২ কক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার (এসপি) মুনতাসিরুল ইসলাম সকালে জানান, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শুক্রবার থেকেই শৈলকুপা পৌর এলাকায় ১৫ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুইজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিয়ন্ত্রণে দুই প্লাটুন বিজিবি, ৪০০ পুলিশ এবং ১৩৫ জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসআর/জিকেএস