মুন্সিগঞ্জ পৌর নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ও তার সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (বর্তমান পৌর মেয়র) ফয়সাল বিপ্লবের লোকজন এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৮টার দিকে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপারের বাসভবনের পাশে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমানসহ আরও ৫ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন তার ভাতিজা মো. মাহবুব হোসেন। মাথায় আঘাত পাওয়ায় মজিবুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মাহবুব।
তিনি বলেন, ‘রাত পৌনে ৮টার দিকে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপারের বাসভবনের পাশে নারকেল প্রতীকের পোস্টার লাগানো হচ্ছিল। তখন লাঠিসোটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদেরকে বেদম লাঠিপেটা করা হয়। সেখানে আমার চাচা অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমানও ছিলেন। তার ওপরেও দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। তার মাথায় আঘাত করে। পরে আমাদের লোকজন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। আমাকে ও চাচাকে পুলিশ সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।’
হামলাকারীরা সবাই বর্তমান পৌর মেয়র ও নৌকার প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থক বলে অভিযোগ করেন মাহবুব।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে পৌর মেয়রের মোবাইল ফোনে কল করা হলে অন্য এক ব্যক্তি রিসিভ করে জানান, ‘মেয়র সাহেব একটি জরুরি মিটিংয়ে আছেন।’
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ড. শৈবাল বসাক জানান, রাত সাড়ে আটটার দিকে মজিবুর রহমানকে হাসপাতালে আনা হয়। শরীরের কোথাও আঘাত বা জখমের চিহ্ন ছিল না। তবে মাথায় কিল-ঘুষি এবং লাঠির বাড়ির কারণে প্রচণ্ড ব্যথার কথা জানালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি জানতে পেরেছি। পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আহত মজিবুর রহমান জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালীন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, দুইবার মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং একবার পৌরসভা মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনে তিনি নারকেল প্রতীক নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন।
এসএস