চার বছরের শিশু আসনান আদিপকে ঝালমুড়ি খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা দাবি করা অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ সময় অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করে তারা।
শিশু আদিপকে ঝালমুড়ি খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে আশুলিয়া থেকে মানিকগঞ্জের যমুনার তীরে চর এলাকায় অপহরণ করে নিয়ে যায় রাকিব। পরে শিশুটির বাবার কাছে মোবাইল ফোনে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণের টাকা না দিলে অপহৃত শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন তিনি।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার বাঘুটিয়া দুর্গম চর এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালায় র্যাব-৪ এর একটি দল। অভিযানে অপহৃত শিশু উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (২৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর পাইকপাড়া র্যাব-৪ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, সোমবার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, রোববার (২১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা জেলার আশুলিয়ার দুর্গাপুর পূর্বচালা এলাকা থেকে ৪ বছরের শিশু মো. আসনান আদিপ অপহৃত হয়।
এ ঘটনার পরদিন অপহরণকারী শিশুর বাবা-মার কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহৃত শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
অপহরণকারীর সম্পর্কে তিনি জানান, অপহরণকারী রাকিব সরদার আশুলিয়ায় একটি গার্মেন্টস কারখানায় আয়রনম্যান হিসেবে কাজ করতেন। সেই সুবাদে পাঁচ মাস ভিকটিমের বাবার টিনশেড বাসার ভাড়াটিয়া ছিলেন রাকিব। এক মাস আগে তিনি সেখান থেকে চলে যান। তখন থেকেই মূলত শিশুটিকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন।
র্যাব-৪ এর সিও বলেন, অপহরণের পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক আসামি রাকিব সরদার ঘটনার দিন বিকেলে ভিকটিম শিশুটিকে ঝালমুড়ি খাওয়ানোর প্রলোভন দেখান। আসামি আশুলিয়া থানাধীন দুর্গাপুর পূর্বচালা (তালিমুল মাদরাসার সাথে) এলাকায় শিশুটির নিজ বাসার গেট থেকে রিকশায় করে জিরাবো এলাকায় নিয়ে যায়। পরে বাসে করে নবীনগর হয়ে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার উথুলি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে জাফরগঞ্জ বাজারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ট্রলারে যমুনা নদী পার হয়ে দৌলতপুর থানার দুর্গম চর বাঘুটিয়া গ্রামে আসামি রাকিবের নিজ বসতবাড়িতে আটক রাখে।
আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ভবিষ্যতেও অপহরণকারী চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
টিটি/এআরএ/এমএস