দেশজুড়ে

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট

ঈদ উপলক্ষে নাড়ির টানে বাড়ি ছুটছে মানুষ। এতে বুধবার সকাল থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেড়েছে গাড়ির চাপ। ফলে সড়কে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।

বুধবার (১২ মে) ভোর থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা থেকে সাইনবোর্ড ছাড়িয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়।

সরজমিনে দেখা যায়, কাঁচপুর, চিটাগাং রোড, সাইনবোর্ড এলাকায় পণ্যবাহী পরিবহনের সঙ্গে সঙ্গে আন্তঃজেলা বাস, লেগুনা, সিএনজি, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন রাস্তায় আটকে আছে। ঘণ্টাখানেক পর পর কিছুদূর যেতে পারলেও আবারো আটকে থাকতে হচ্ছে।

এদিকে বাড়তি ভাড়া দিয়ে কার্ভাডভ্যান, ট্রাক, মাইক্রোতে চড়ে যারা বাড়ি ফিরছেন যানজটের ফলে এখন তাদের অনেকেই হেঁটে যাত্রা শুরু করেছেন।

শাহরিয়ার জয় নামে এক যাত্রী শনির আখড়া থেকে হেঁটে সানারপাড় এসেছেন। যাবেন সোনারগাঁ মোগরাপাড়া যাবেন।

তিনি জানান, দীর্ঘ যানজট থাকায় হেঁটেই সানারপাড় আসলাম। চিটাগাং রোড গিয়ে গাড়িতে উঠার চেষ্টা করবো। না পারলে হেঁটে চলে যাব।

শিশির চৌধুরী নামে আরেক যাত্রী যানজট থাকায় সাইনবোর্ডে থেকে শিমরাইল পর্যন্ত হেঁটে এসেছেন। তিনি বলেন, সড়কে তূলনামূলক বাস কম। কিন্তু তারপরও অনেক যানজট। আমি দাউদকান্দি যাব। যানজট থাকায় ভোগান্তিতে আছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের দাবি, মেঘনা টোল প্লাজায় টোল আদায়ে ধীরগতি থাকায় পরিবহনগুলো সড়কে আটকে গেছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে মহাসড়কে পরিবহনের চাপ ও মেঘনা টোল প্লাজায় টোল আদায়ে ধীর গতির কারণে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। দূরপাল্লার বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কার্ভাডভ্যান, আন্তঃজেলা বাস, ছোট-বড় পরিবহন চলাচল করছে। আর ঘরমুখী লাখ লাখ মানুষ এসব পরিবহনে ঝুঁকি উপেক্ষা করে বাড়ি ফিরছে।

এস কে শাওন/এএইচ/জিকেএস