নড়াইলের শেখ রাসেল সেতু সংলগ্ন এলাকার মাটিতে ধস দেখা দিয়েছে। ধসের চার মাস পেরিয়ে গেলেও বালুর বস্তা ফেলে ভরাট করা ছাড়া সংস্কারের আর কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এতে যেকোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সেতু সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে সেতুর পাশ থেকে মাটি ধসে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর পর চার মাস পার হয়ে গেছে। কিন্তু কাউকে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) নড়াইলের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আতিক উল্লাহ জানান, সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত। সেতুর দুই পাশে প্রচণ্ড চাপ আর প্রবল বৃষ্টির কারণে মাটি ধসের ঘটনা ঘটতে পারে। প্রাথমিকভাবে বালুর বস্তা দিয়ে ধস থামানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সেতুটির সংস্কার কাজ দ্রুত শুরু করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে।
২০১৭ সালের ২৬ মার্চ শেখ রাসেল সেতুটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। এতে জেলা শহরের সঙ্গে লোহাগড়া,কালিয়া উপজেলার ২৫টি ইউনিয়ন ছাড়াও গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, বরিশাল, মাদারীপুর, শরীয়তপুরসহ রাজধানী ঢাকার সঙ্গেও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়েছে।
নড়াইল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সেতুটির মূল দৈর্ঘ্য ১৪০ মিটার। আর প্রস্থ ৫ দশমিক ৪৬ মিটার। পানির স্তর থেকে সেতুর উচ্চতা ৭ মিটার। ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমবিইএল-ইউডিসি (জেভি) সেতুটি নির্মাণ করে। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ২৮ কোটি ২০ লাখ টাকা।
হাফিজুল নিলু/এফআরএম/এএসএম