১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা গঠিত হলেও এখানকার ফায়ার সার্ভিস চলছে লক্কড়-ঝক্কড় অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ারের গাড়ি দিয়ে।
১৯৯৮ সালে শৈলকুপায় ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম শুরু হয়। তখন থেকেই পুরাতন গাড়ি দিয়েই চলছে সেবা কার্যক্রম। আজ পর্যন্ত কোনো নতুন গাড়ি এ স্টেশনে সংযোজন হয়নি।
পুরাতন গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স নিয়েই উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এতে প্রায় সেবাদান বিঘ্নিত হচ্ছে। বিশেষ করে প্রতিনিয়ত মুমূর্ষু রোগীদের এই পুরাতন অ্যাম্বুলেন্সে জেলা শহরের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। মাঝে মধ্যেই রাস্তায় সেই একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০০৮ সালে একটি পুরাতন অ্যাম্বুলেন্স নড়াইল ফায়ার সার্ভিস থেকে আনা হয় শৈলকুপায়। গাড়িগুলো অতি পুরাতন হওয়ায় প্রায়ই নষ্ট হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে শৈলকুপার সমাজ সেবক ওয়াহিদুজ্জামান ইকু শিকদার বলেন, ‘পুরাতন গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে চলছে ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম। এটি রীতিমতো সাধারণ মানুষের জন্য জীবনের ঝুঁকি। তাই সরকারের কাছে শৈলকুপাবাসীর জন্য আমাদের দাবি, নতুন ফায়ারের গাড়ি ও একটি নতুন অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দেওয়া হোক।’
শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনমাস্টার আক্কাস আলী বলেন, ‘শৈলকুপা উপজেলা জনবহুল ও আয়তনে বড়। এখানে একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে মানুষের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছি। সেটি পুরাতন হওয়ায় ঠিকমতো সেবা দেওয়াও সম্ভব হয়ে ওঠে না। একটি নতুন অ্যাম্বুলেন্স পেলে সেবার মান বৃদ্ধি পেত। এছাড়াও ফায়ারের গাড়ি অতি পুরাতন হওয়ায় প্রায়ই রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ে থাকে। এরপরও আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি সেবা দেওয়ার জন্য।’
এ বিষয়ে শৈলকুপা নির্বাহী অফিসার কানিজ ফাতেমা লিজা বলেন, ‘ফায়ারের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স দুটোই জনজীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অবশ্যই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এদিকে নজর দেবো। সেই সঙ্গে ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করবো যাতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়।’
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এমএইচআর/এএসএম