জামালপুর সদর উপজেলার তুলশিরচর ইউনিয়নে ভোট দিয়েছেন মৃত ব্যক্তি ও প্রবাসীরাও। এমন অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের আনারস প্রতীক নিয়ে অংশ নেওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মমিনুল ইসলাম।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, জালিয়াতি ও কেন্দ্র দখল করে সবশেষে ৩টি কেন্দ্রের ফলাফল পরিবর্তন করে আমাকে পরাজিত দেখানো হয়েছে।
তিনি বলেন, মধ্য গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম টেবিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পূর্ব টেবিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল না দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর চাপে প্রিসাইডিং অফিসাররা চলে আসেন। পরবর্তীতে উপজেলা সদরে আসার পথে সুবিধাজনক স্থানে ওই ৩টি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. শহিদুল্লাহ ও তার কর্মী সমর্থকরা ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে উপজেলা নির্বাচনী কন্ট্রোল রুমে জমা দেন। সে মোতাবেক আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. শহিদুল্লাহকে বেসরকারিভারে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
লিখিত বক্তব্যের অনুলিপিতে জানা গেছে, পূর্ব টেবিরচর কেন্দ্রে ভাটি গজারিয়া গ্রামের আব্দুল বারেক, পিতা-সেকান্দর আলী, মো. রমেশ, পিতা- মো. হোসেন আলী, শামসুল হক, পিতা- জবেদ সরকার, সুরুজ্জামান, পিতা-তালেব সরকার, আব্দুল গফুর, পিতা-অসিম উদ্দিনসহ অর্ধশতাধিক মৃত ব্যক্তির ভোট কাস্ট হয়েছে।
এছাড়া ভোট কাস্ট হয়েছে ওই গ্রামের বিদেশে অবস্থানরত আবু সাঈদ, পিতা-কুদুস আলী, আনোয়ার হোসেন, পিতা- আজিবর রহমান, মোশারফ হোসেন, পিতা-মোখলেছুর রহমান, শামছুল হক, পিতা-মৃত আয়নাল হক, খোকন, পিতা- লাল মামুদের।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মমিনুল ইসলাম জানান, নির্বাচনের দিন সন্ধ্যায় পূর্ব টেবিরচর কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকরা জোর করে সিল মারতে শুরু করলে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। পরে ওই কেন্দ্রের মাঠে একটি বইয়ে নৌকা প্রতীকের সিলসহ ৪৪টি ব্যালট পেপার পাওয়া যায়।
তিনি সংবাদ সম্মেলন শেষে তার কাছে রক্ষিত নৌকা প্রতীকের সিলসহ ৪৪টি ব্যালট পেপার প্রদর্শন করেন।
নাসিম উদ্দিন/এফএ/এমএস