‘হঠাৎ করে পরীক্ষা দিলো। মানসিকভাবে একটু চাপে ছিল। তাই পরীক্ষা দিতে এসে কান্না জুড়ে দিলো মেয়ে। আগে কখনো কোনো পরীক্ষা দিতে এসে কান্না করেনি। কিছুটা ভয় হয়তো লাগছিল।’
এমনটাই জানাচ্ছিলেন রাজধানীর বিসিএসআইআর হাইস্কুলের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মমকে এসএসসি পরীক্ষা দিতে নিয়ে আসা তার বাবা মো. ইব্রাহিম।
রোববার (১৪ নভেম্বর) সকালে আজিমপুর গভ. গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে কথা হয় মমের বাবা মো. ইব্রাহিমের সঙ্গে।
ইব্রাহিম বলেন, সকালে গ্রামে পরিবারের সদস্যদের ফোন দিয়ে কথা বলে মেয়ে। সবার কাছে দোয়া নেয়। তখনই কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে যায়। এর আগেও পিইসি, জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। কোনো পরীক্ষা দিতে এসে কাঁদেনি।
রাজধানীর হাতিরপুল থেকে মেয়েকে নিয়ে আসা মো. ইব্রাহিম বলেন, দীর্ঘদিন কোনো পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। পরীক্ষা হবে কি না তা নিয়েও একটু দ্বিধাদ্বন্দ্ব, অনিশ্চয়তা ছিল। যথাসময়ে পরীক্ষার কথা মাথায় নিয়ে প্রস্তুতি একবার নিয়েছিল। মাঝে আবার বিরতি হবে কি হবে না এই নিয়ে।
তিনি বলেন, এসময়ে বাচ্চাদের মানসিক অবস্থাও ভালো ছিল না। আবার অটোপাস নিয়েও একধরনের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। এসব নিয়ে মানসিকভাবে একটু চাপেই রয়েছে বলা যায়।
এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগে মেয়েকে কী বললেন- জানতে চাইলে মমের বাবা মো. ইব্রাহিম বলেন, কোনো ভয় নেই। সবাইতো পরীক্ষাে দেবে তোমার মতো।
পরীক্ষা শেষে কথা জান্নাতুল মমের সঙ্গে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মম জাগো নিউজকে জানায়, পরীক্ষা ভালো হয়েছে। একটু চাপে ছিলাম তাই মন খারাপ হয়েছিল। অটোপাসের কথা বলতো মানুষ। পরীক্ষা হওয়ায় সেটা বলার সুযোগ নেই। দীর্ঘদিন পর পরীক্ষা হলেও এখন ভালো লাগছে।
রাজধানীসহ সারাদেশে একযোগে আজ থেকে শুরু হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তিনটি বিভাগের তিনটি বিষয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের এসএসসি ও সম্মানের পরীক্ষা।
আরএসএম/বিএ/এমএস