টানা তিনদিনের সরকারি ছুটিকে সামনে রেখে রাঙ্গামাটির অর্ধশতাধিক হোটেল প্রায় শতভাগ ও গাড়ির টিকিট অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। ১৮ ডিসেম্বর কিছু হোটেলে সিট ফাঁকা থাকলেও ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর বেশিরভাগ হোটেল দুই সপ্তাহ আগে থেকেই বুকিং হয়ে গেছে।
রাঙ্গামাটি হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দিন সেলিম বলেন, ‘রাঙ্গামাটি শহরে আমাদের ৫৪টি হোটেল রয়েছে। যেখানে প্রায় ১০ হাজার পর্যটক থাকতে পারে। বিজয় দিবস উপলক্ষে টানা তিনদিনের ছুটিতে বেশিরভাগ হোটেলের শতভাগ বুকিং রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি ভালো এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতিও স্থিতিশীল থাকার কারণে আশা করছি এই তিনদিনে প্রচুর পর্যটক আসবে।’
হোটেল হিল পার্কের ব্যবস্থাপক স্বপন শীল জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের ১৫টি রুম রয়েছে। সব রুম বুকিং হয়ে গেছে। প্রতিদিনই রুমের জন্য কল পাচ্ছি, কিন্তু দিতে পারছি না।’
হোটেল নাদিশার ব্যবস্থাপক মো. শাহীন সুলতান বলেন, আমাদের প্রায় ৬৫টি রুম রয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকেই ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯ ও ২৪ ডিসেম্বর শতভাগ বুকিং রয়েছে।
একই অবস্থা গণপরিবহনেও। ঢাকা-রাঙ্গামাটি রুটের ইউনিক বাস সার্ভিসের রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি খোকন কুমার দে বলেন, ‘ঢাকা থেকে ১৪, ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বরের প্রায় সবগুলো আসন দুই সপ্তাহ আগে বুকিং হয়ে গেছে। রাঙ্গামাটি থেকে ঢাকার ১৫, ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বরের প্রায় সব আসন বুকিং রয়েছে। যারা আসন পাচ্ছেন না তারা চট্টগ্রাম হয়ে যাওয়া-আসা করছেন।’
জানতে চাইলে রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন কান্তি বড়ুয়া বলেন, দীর্ঘদিন করোনা মহামারির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে পর্যটকরা আবারও রাঙ্গামাটিতে আসতে শুরু করেছেন। এই ধারা অব্যাহত থাকলে দীর্ঘদিনের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
রাঙ্গামাটি ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসান ইকবাল বলেন, রাঙ্গামাটির প্রতিটি পর্যটনস্পটে যাতে পর্যটকরা নিরাপদে ঘুরে বেড়াতে পারেন সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
শংকর হোড়/এসআর/এএসএম