দেশজুড়ে

অর্থ আদায়ের অভিযোগে শিবচরে নির্বাচন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি

চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে মাদারীপুরের শিবচর নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

চতুর্থ ধাপে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী এক প্রার্থীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এক পত্রে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। তার জায়গায় রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে শিবচর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদারীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, চতুর্থ ধাপে আগামী ২৬ ডিসেম্বর শিবচরের উমেদপুর, ভদ্রাসন ও সন্নাসীরচর ইউনিয়নে এবং পঞ্চম ধাপে ৫ জানুয়ারি কাঁঠালবাড়ি ও বন্দরখোলা ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের কাছ থেকে শিবচর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ অর্থ আদায় করেছেন বলে উমেদপুর ইউনিয়নের এক চেয়ারম্যান প্রার্থী লিখিত অভিযোগ করেন।

তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হারুন-অর-রশিদকে চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য গত ৯ ডিসেম্বর একটি সুপারিশপত্র ঢাকায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানো হয়। এই সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদকে চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে পত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে শিবচর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শিবচর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কখনো কোনো প্রার্থীর কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করিনি।

শিবচর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার রাতে পাওয়া চিঠির মাধ্যমে জানতে পারি আমাকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে।

এ কে এম নাসিরুল হক/এমআরআর