দেশজুড়ে

শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল, বন্ধুর হাতে খুন

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগরে ঘরে ঢুকে এসএসসি পরীক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম সরদারকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত বন্ধু নুরুজ্জামান ইসলামকে (১৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বন্ধুর শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণা করে মানসিকভাবে চাপ দেওয়ায় জহিরুলকে খুন হতে হয়।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বেলা ১১টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। গ্রেফতার নুরুজ্জামান কালকিনি উপজেলার মহরুদ্দিন চর এলাকার সালাম হাওলাদের ছেলে।

পুলিশ সুপার বলেন, নুরুজ্জামান ও নিহত জহিরুল খুব ভালো বন্ধু ছিলেন। নুরুজ্জামান বিভিন্ন সময় জহিরুলের বাসায় যেতেন এবং একসঙ্গে রাত কাটাতেন। তারা বিভিন্ন সময় যৌনকর্মীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতেন। একসময় এক যৌনকর্মীর সঙ্গে নুরুজ্জামানের অন্তরঙ্গ মুহূতের্র ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করেন জহিরুল। সেই ভিডিও দিয়ে নুরুজ্জামানকে ব্ল্যাকমেইলিং করতেন জহিরুল। এতে নুরুজ্জামান মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে জহিরুলকে খুনের পরিকল্পনা করেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ঘটনার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে নুরুজ্জামান জহিরুলের বাসায় আসেন। তারা একসঙ্গে জহিরুলের বাসায় ঘুমান। পরে আনুমানিক রাত ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার দিকে ঘুমিয়ে থাকা জহিরুলকে দা দিয়ে পেছন থেকে ঘাড়ে কোপ দেন নুরুজ্জামান। বেশ কয়েকটি কোপ দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার পরে পালিয়ে যান তিনি।

এসপি জানান, পরদিন নিহতের ভাই শাহীন সরদার বাদী হয়ে কালকিনি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কালকিনি থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বুধবার (২ মার্চ) ঢাকার শ্যামপুর এলাকা থেকে নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে জহিরুলের ব্যবহার মুঠোফোনও উদ্ধার করে পুলিশ।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার আরও বলেন, স্কুলছাত্র জহিরুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে তার বন্ধু নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করার পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। তার কাছ থেকে জহিরুলের ব্যবহার করা মুঠোফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের মহরুদ্দিন চর এলাকায় নিজ বাড়িতে খুন হয় কাতার প্রবাসী বারেক সরদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম। পুলিশ পরদিন সকালে খবর পেয়ে জহিরুলের মরদেহ উদ্ধার করে।

এ কে এম নাসিরুল হক/এমআরআর/জেআইএম