দেশজুড়ে

তিনদিনের ছুটিতে রাঙ্গামাটিতে ৭০-৮০ ভাগ হোটেলে বুকিং শেষ

 

রাঙ্গামাটির পর্যটন স্পটগুলোতে উপচেপড়া ভিড় হয় সাধারণত নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত। শুক্রবার ও শনিবারও বিপুল সংখ্যক পর্যটক বেড়াতে আসেন। তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি আগের চেয়ে স্বাভাবিক হওয়ায় পর্যটকরা ভিড় করছেন রাঙ্গামাটি।

মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছুটি থাকায় তিনদিনের ছুটিতে রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী তিনদিনের জন্য রাঙ্গামাটির বেশিরভাগ হোটেলের রুম অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। ৭০ থেকে ৮০ ভাগ হোটেল রুম অগ্রিম বুকিং রয়েছে বলে তারা জানান।

হোটেল নাদিশার ব্যবস্থাপক শাহিনুর খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘টানা তিনদিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে আমরা আগেভাগেই প্রস্তুতি সেরে নিয়েছি। পর্যটকদের বরণে আমরা শতভাগ প্রস্তুত রয়েছি। আমাদের ৫০টি রুম রয়েছে। আগামী তিনদিনের জন্য আমাদের সব কয়টি রুম শতভাগ বুকিং রয়েছে। আজও (বুধবার) অর্ধেক রুম বুকিং রয়েছে।’

হোটেল গ্রীন ক্যাসেল ও হোটেল সাংহাইয়ের স্বত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম শরিফ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার দুইটা হোটেল মিলে ৬৫টি রুম রয়েছে। টানা তিনদিনের ছুটিতে প্রায় ৭০ ভাগ রুম বুকিং রয়েছে। মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় ভালো পর্যটকের সাড়া পাচ্ছি। শুধু আমাদের হোটেল নয়, রাঙ্গামাটির পর্যটনবান্ধব সব হোটেলগুলো ভালোই সাড়া পাচ্ছে পর্যটকদের।’

শহরের ৫৩টি হোটেলের মধ্যে বেশিরভাগ হোটেলেই ৭০ থেকে ৮০ ভাগ রুম অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে বলে জানান রাঙ্গামাটি হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মঈনুদ্দিন সেলিম।

তিনি বলেন, ‘টানা তিনদিনের ছুটিকে সামনে রেখে আমাদের সব হোটেল-মোটেল পর্যটকদের সেবা দিতে শতভাগ প্রস্তুত রয়েছে। আশা করছি, এ তিনদিনে ১৫ থেকে ২০ হাজার পর্যটক রাঙ্গামাটি ভ্রমণ করবেন।’

এ বিষয়ে পর্যটন কমপ্লেক্সের রাঙ্গামাটি জেলার ব্যবস্থাপক সৃজন কান্তি বড়ুয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘টানা তিনদিনের ছুটিতে মোটামুটি পর্যটক আসার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ স্কুল, কলেজ খুলে দেওয়ায় মানুষের মুভমেন্ট আপাতত কমে গেছে। পর্যটক কমপ্লেক্সের ৮৮টি রুমের মধ্যে আগামী তিনদিনের জন্য ৫০ ভাগের ওপর রুম বুকিং রয়েছে।’

শংকর হোড়/এসআর/জিকেএস