দেশজুড়ে

ময়মনসিংহে ৮ কেজির তরমুজ ৫০০ টাকা

রোজার শুরুতেই ময়মনসিংহে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে তরমুজ, শসা, কলা ও লেবুর দাম। বাজারে এক হালি সবরি কলা ও লেবু ৪০ টাকা। আর তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি।

সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে মহানগরীর মেছুয়া বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

ওই বাজারের কলা বিক্রেতা বিল্লাল মিয়া বলেন, রোজায় মানুষের চাপ বেশি, আমদানি কম। তাই, প্রতি হালি কলায় ১৫ থেকে ২০ টাকা করে বেড়েছে।

তিনি বলেন, বড় সবরি কলা ৫০, ছোট সবরি কলা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, সাগর কলা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, চম্পা কলা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে কলা কিনতে আসা সাহাব উদ্দিন বলেন, কিছুদিন আগেও সবরি কলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা হালি ছিল। রোজা আসায় এখন ৪০ থেকে ৪৫ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। নিয়মিত বাজারে তদারকি না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম আদায় করছে।

একই বাজারের তরমুজ বিক্রেতা আলী হোসেন বলেন, তরমুজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। তবে, পিস হিসেবেও বিক্রি করি। আট কেজি ওজনের একটি তরমুজ প্রায় ৫০০ টাকা। তরমুজ কেটে পিস হিসেবে বিক্রি করেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেটে তরমুজ বিক্রি করা হয় না।

অটোরিকশাচালক বিপুল মিয়া বলেন, বাজারে তরমুজ কিনতে আসছিলাম। প্রতি কেজি তরমুজ ৬০ টাকা। বাজারে পাঁচ কেজি ওজনের নিচে কোনো তরমুজ নেই। এক তরমুজ ৩০০ টাকায় কেনা আমার পক্ষে সম্ভব না। তাই ফিরে যাচ্ছি। তবে, কেটে পিস হিসেবে বিক্রি করলে দুই কেজি তরমুজ কেনার মতো সামর্থ্য আমার আছে। কিন্তু, কেটে বিক্রি হয় না।

লেবু-শসা বিক্রেতা স্বপন মিয়া বলেন, এলাচি লেবু গত সপ্তাহে ১৫ থেকে ২০ টাকা হালি ছিল। রোজা শুরু হওয়ার পর থেকে ৪০ টাকা হালি হয়েছে। আর দেশি বড় আকারের লেবু ৫০ টাকা হালি।

তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহে শসা ৪০ টাকা কেজি হলেও রোজা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ৬০ টাকা কেজি হয়েছে।

বাজার করতে আসা বৃদ্ধ কাশেম মিয়া বলেন, আমরা তো আপেল-কমলা কিনে খেতে পারবো না। তবে, বাজারে তরমুজ কিনতে এসে দেখি এটাও বড় লোকের খাবার। আমাদের গরিবের ফলমূল খাওয়ার মতো কিছু রইলো না।

মঞ্জুরুল ইসলাম/এমআরআর/এএসএম