বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার গজারিয়া নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ শিশু রোহানের (৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ট্রলারডুবিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়ালো।
শনিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে চরবউডোবা সংলগ্ন গজারিয়া নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
রোহান মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার মাঝেরচর গ্রামের মোনতাজ উদ্দিন হাওলাদার ও নার্গিস আক্তার দম্পতির সন্তান।
এর আগে শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকালে গজারিয়া নদীতে ট্রলারডুবিতে রোহানের নানি মায়ানুর বেগম ও খালা নাসরিন আক্তার নিহত হন।
স্থানীয়রা জানান, মায়ানুর বেগমের ভাসুরের মেয়ে জামাই কবির কাজী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভোর ৬টায় মারা যান। তার বাড়ি দড়িরচরখাজুরিয়া গ্রামে। খবর পেয়ে মায়ানুর বেগম ও তার মেয়ে নাসরিন আক্তার এবং নার্গিস আক্তারসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য দড়িরচরখাজুরিয়া গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। নার্গিস আক্তারের সঙ্গে তার ছেলে রোহানও ছিল।
গজারিয়া নদী পার হতে তারা যাত্রীবাহী ট্রলারে ওঠেন। ট্রলারে তারাসহ ১৩ থেকে ১৬ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। ট্রলারটি ছেড়ে মাঝনদীতে গেলে দমকা হওয়া এবং ঢেউয়ের কারণে দুলতে শুরু করে। এক পর্যায়ে ট্রলারটি পানিতে ডুবে যায়।
এসময় আশপাশে থাকা মাছ ধরার ট্রলার এগিয়ে এসে কয়েকজন যাত্রীকে উদ্ধার করে। কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন। ট্রলারডুবির বেশ কিছুক্ষণ পর মায়ানুর বেগম ও তার মেয়ে নাসরিন আক্তারকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
মেহেন্দিগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তৌহিদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনো মাঝেরচর গ্রামের দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা।
সাইফ আমীন/এসআর/জেআইএম