পহেলা বৈশাখ ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় থাকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটায়। তবে এ বছর পহেলা বৈশাখে কুয়াকাটার চিত্র পুরোটাই ভিন্ন। পর্যটকদের আনাগোনা নেই সমুদ্রসৈকতে।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) পুরো সৈকত ঘুরে দেখা যায়, সৈকতজুড়ে সুনসান নীরবতা। কোনো পর্যটক নেই। বিচ চেয়ারগুলো খালি পড়ে আছে। কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ ফুচকার গাড়ির দেখা মিললেও তা ছিল তালাবদ্ধ। আপন মনে আচড়ে পড়ছে সমুদ্রের ঢেউ। তবে দেখার কেউ নেই।
হোটেল সমুদ্র বাড়ি রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম মিরন জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রতি বছর পহেল বৈশাখ উপলক্ষে আমরা আগাম বুকিং পেয়ে থাকি। এমনও হয় যে আর রুম দেওয়া যায় না। সব বুকিং হয়ে যায়। কিন্তু এ বছর কোনো বুকিং নেই। তবে ঈদ উপলক্ষে কিছু বুকিং পেয়েছি। আশা করছি ঈদের পরে অনেক পর্যটকদের আগমন ঘটবে।’
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক কেএম বাচ্চু বলেন, একদিকে পর্যটন মৌসুমের শেষের দিক, অন্যদিকে রমজান মাস চলমান। তাই আমরা পর্যটক কম পাচ্ছি। তবে ঈদের পর ভিড় বাড়বে বলে আশা করছি।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (কুটুম) সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব। তিনি জাগো নিউজকে জানান, বিগত দিনগুলোতে পহেলা বৈশাখে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ রুম বুকিং থাকতো। তবে এবছর সেই চিত্র পুরোটাই ভিন্ন। একদিকে রমজান অন্যদিকে রমজান শেষে ঈদ উপলক্ষে একটি লম্বা বন্ধ থাকায় বর্তমানে কুয়াকাটায় পর্যটক নেই।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসআর/জিকেএস