দেশজুড়ে

ঈদকে ঘিরে কুয়াকাটায় অগ্রিম হোটেল বুকিংয়ের হিড়িক

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। এ উৎসবকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে থাকে নানা আয়োজন ও পরিকল্পনা। ঈদে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বেড়াতে যাওয়ার আগাম প্রস্তুতি ভ্রমণ পিপাসু মানুষগুলো সবসময়ই নিয়ে থাকেন। এর ওপর যদি থাকে লম্বা ছুটি, তাহলে তো কথাই নেই।

আগামী ঈদুল ফিতর ও সরকারি লম্বা ছুটিকে সামনে রেখে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে অগ্রিম হোটেল বুকিং। নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলোর ৪০-৫০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোর ৩০-৪০ শতাংশ রুম অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল জহিরুল ইসলাম।

তিনি জানান, পুরো রমজান মাসজুড়ে পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা। সেই সুযোগে হোটেল-মোটেলগুলো পরিপাটি করে তাদের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে। আগামী ১ মে থেকে টানা ছুটিতে লাখো পর্যটকদের আগমন ঘটবে কুয়াকাটায় এমনটাই আশাবাদী আমরা।

এদিকে সৈকতে দীর্ঘদিন পর্যটক কম থাকায় পুরো সৈকতজুড়ে তৈরি হয়েছে ভিন্নতা। শীত মৌসুমের শেষে সৈকতে উঁচু ডেউ, জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য ও বর্ষার আমেজ উপভোগে অনেকেই ছুটে আসবেন কুয়াকাটায় এমনটাই ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

কুয়াকাটা সৈকতের এক ফটোগ্রাফার জাগো নিউজকে বলেন, আমরা পুরো রমজান মাসে পর্যটক পাইনি। তবে বেশ আসা নিয়ে ঈদের ছুটির অপেক্ষা করছি।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কেএম বাচ্চু জাগো নিউজকে জানান, পর্যটকদের আগাম সম্ভাবনাকে ঘিরে আমরাও প্রস্তুতি নিয়েছি যাতে পর্যটকদের পুরোপুরি সেবা ও বিনোদন দিতে পারি। ইতোমধ্যে ট্যুর অপারেটরদের কাছেও অনেকগুলো বুকিং আসছে, আসা করছি কুয়াকাটায় পুরোপুরি বুকিং হয়ে যাবে ঈদের আগেই।

হোটেল খান প্যালেসের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক রাসেল খান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ রুম অগ্রিম বুকিং দিয়েছি। বাকি রুমগুলোও বুকিং হয়ে যাবে ঈদের আগেই। বরাবরের মতো আমাদের কুয়াকাটায় প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলো সবার আগে বুকিং হয়, তারপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির হোটেলগুলো বুকিং হয়ে থাকে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জাগো নিউজকে জানান, সারা বছরই পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে থাকে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা। এছাড়াও বিশেষ দিনগুলোতে আমাদের বাড়তি নিরাপত্তা থাকে। এই ঈদ ঘিরেও আমরাদের বিভিন্ন টিম তৈরি রয়েছে।

কুয়াকাটায় দৈনিক আগত পর্যটকদের রাত্রিযাপনের ধারণক্ষমতা ১৫ হাজার থাকলেও এই বন্ধে এর চেয়ে দ্বিগুণ পর্যটকদের উপস্থিতি থাকবে বলে মনে করেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এফএ/এমএস