ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এরই মধ্যে কাতার বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব থেকে বাদ দেয়া হয়েছে রাশিয়াকে। শুধু বিশ্বকাপ বাছাই পর্বই নয়, আরো অনেকগুলো ক্রীড়া আসর থেকে বাদ দেয়া হয়েছে তাদেরকে। রাশিয়া থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে অনেকগুলো ক্রীড়া আসরের আয়োজন। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল রাশিয়ায়, সেটিও অনেক আগে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
Advertisement
এবার রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের অভিভাবক উয়েফা। তারা ২০২৮ এবং ২০৩২ সালের ইউরো আয়োজনের যে নিলাম হবে, সেখানে সরাসরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে রাশিয়াকে।
রাশিয়াকে বাদ দেয়ার কারণে ২০২৮ এবং ২০৩২ সালের ইউরো আয়োজনের ক্ষেত্রে তুরস্ক এবং যৌথভাবে ইংল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং আয়ারল্যান্ডের জন্য পথ প্রশস্ত হয়ে গেলো।
উয়েফা শুধু আয়োজনের নিলামে অংশগ্রহণ থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করেনি, রাশিয়ার সব দলকেই ইউরোপিয়ান সর্বস্তরের প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নারী ইউরো এবং আগামী মৌসুমের ক্লাব টুর্নামেন্ট।
Advertisement
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরপর অনেক নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে আবদ্ধ করার চেষ্টা করা হয় দেশটিকে। সর্বশেষ ইউরোপের সব ধরনের প্রতিযোগিতায় রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করার পর উয়েফা নির্বাহী কমিটি জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে আগামী মৌসুম পুরোটা জুড়ে।
এর অর্থ হলো আগামী মৌসুমে রাশিয়ার কোনো ক্লাবই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগ এবং কনফারেন্স লিগে অংশ নিতে পারবে না।
আগামী জুলাইতে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে নারী ইউরো। রাশিয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর তাদের পরিবর্তে পর্তুগালকে অন্তর্ভূক্ত করে নেয়া হয়েছে। বাছাই পর্বের প্লে-অফে পর্তুগালকে হারিয়ে রাশিয়া নারী ইউরোতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল।
গত মার্চেই ইউরো ২০২৮ এবং ২০৩২ সালের আসরের আয়োজকের নিলামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সবাই বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করে, রাশিয়া এই আসরেরই আয়োজনের দৌড়ে ভালোভাবেই প্রবেশ করেছিল। যেটা দেখে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ অনেকেই এর কঠোর নিন্দা করেছিলেন।
Advertisement
এবার উয়েফা পুরোপুরিভাবেই রাশিয়ায় এই দুই আসর আয়োজনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছে। এক বিবৃতিতে উয়েফা জানিয়েছে, ‘উয়েফা নির্বাহী কমিটি ঘোষণা দিচ্ছে যে, ফুটবল ইউনিয়ন অব রাশিয়া ২০২৮ এবং ২০৩২ সালের ইউরো আয়োজনের জন্য যে আবেদন জমা দিয়েছিল, তার এখন আর কোনো কার্যকরিতা নেই। বিড রেগুলেশনের ১৬.০২ আর্টিকেল অনুসারে তারা এই আয়োজনের বিডিংয়ে অংশ নেয়ার যোগ্যতা রাখে না।’
আইএইচএস/