মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভোলার মনপুরা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের।
প্লাবিত গ্রামগুলো হলো হাজিরহাট ইউনিয়নের সোনারচর, চরযতিন, দাসেরহাট ও চরজ্ঞান; মনপুরা ইউনিয়নের আন্দিরপাড়, কূলাগাজী তালুক, কাউয়ারটেক; নতুন ইউনিয়ন কলতালী ইউনিয়নের চরকলাতলী ও চরখালেক এবং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের মাস্টারহাটের বিচ্ছিন্ন চরনিজাম।
মনপুরা ইউনিয়নের আন্দিরপাড়, কূলাগাজী তালুক ও কাউয়ারটেক গ্রামের পানিবন্দি মাকছুদ, কামাল, রহিমা, ঝুমুর, হাবিব বলেন, ‘শুক্রবার (১৭ জুন) সকাল ও দুপুরের জোয়ারের পানিতে আমাদের উঠান ডুবে বসতঘরে পানি ঢুকে পড়ে। দুপুরের দিকে আরও বেশি বৃদ্ধি পেয়ে বসতঘরে হাঁটুসমান পানি হয়েছে। রান্নাঘরের চুলা ডুবে যাওয়ায় দুপুরে রান্না হয়নি। তখন থেকে আমরা কিছুই খেতে পারিনি।’
তারা আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) থেকে আমরা জোয়ারের পানিতে কষ্ট পাচ্ছি। বৃহস্পতিবার কম হলেও শুক্রবার জোয়ারের পানির পরিমাণ বেশি। জোয়ারের পানি প্রবেশ করলে আমরা ৩-৪ ঘণ্টা পানিবন্দি থাকি। এ অবস্থা থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই।’
পুকুরের মালিক মো. ইউনুস ও নুরন্নবী জানান, জোয়ারের পানি প্রবেশ করে তাদের পুকুরের সব মাছ ভেসে গেছে। এতে তাদের প্রায় চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসান মাহমুদ বলেন, গত দুদিনের টানা বৃষ্টি ও মেঘনা নদীর অতি জোয়ারের কারণে মনপুরা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকেছে। তবে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
মনপুরা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা চরফ্যাশন ইউএনও মো. আল নোমান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এসআর/জিকেএস