দেশজুড়ে

কুয়াকাটায় অগ্রিম হোটেল বুকিংয়ের হিড়িক

ঈদুল আজহা ও পদ্মা সেতুর প্রভাবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে অগ্রিম হোটেল বুকিং। নিজেদের সার্বিকভাবে প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোর প্রায় ৭০ শতাংশ রুম অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, পর্যটন মৌসুম হিসেবে আমরা নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ধরি, কিন্তু পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে এখন সারাবছর আমরা পর্যটক পাবো। আসন্ন ঈদ ও পদ্মা সেতুর সুফল হিসেবে আগামী ১০ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত একটানা অনেক পর্যটক আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সব পর্যটক ব্যবসায়ী তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কেএম বাচ্চু জাগো নিউজকে জানান, পর্যটকদের আগমন ঘিরে আমরাও প্রস্তুতি নিয়েছি, যাতে পুরোপুরি সেবা ও বিনোদন দিতে পারি। তবে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের জন্য বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে তারা একদিন ঘোরাফেরা করে চলে যান। যদি বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে সম্ভাবনাটা আরও বাড়বে।

হোটেল সমুদ্র বাড়ির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম মিরন জাগো নিউজকে বলেন, আমরা ১২-১৩ তারিখ পুরো রিসোর্ট অগ্রিম বুকিং পেয়েছি, আবার ১৪-১৫ তারিখেরও ৭০ শতাংশ বুকিং।

হোটেল রেইন ড্রপসের পরিচালক দীপংকর চন্দ্র সিকদার জাগো নিউজকে বলেন, আমরা ঈদ উপলক্ষে ইতোমধ্যে অগ্রিম ৫০-৬০ শতাংশ রুম বুকিং পেয়েছি। আশা করছি বাকিগুলোও বুকিং হয়ে যাবে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জাগো নিউজকে জানান, সারা বছরই পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে থাকে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা। এছাড়া বিশেষ দিনগুলোতে আমাদের বাড়তি নিরাপত্তা থাকে। এই ঈদ ঘিরেও আমাদের বিভিন্ন টিম তৈরি রয়েছে।

কুয়াকাটায় পর্যটকদের রাতযাপনের জন্য ১৬০টির অধিক আবাসিক হোটেল মোটেল রয়েছে, যার ধারণক্ষমতা ১৫ হাজারের মতো। এই ছুটিতে তার কয়েকগুণ পর্যটক আসার সম্ভাবনায় নতুন নতুন হোটেল ও স্থাপনা তৈরিতে ব্যস্ত বিনিয়োগকারীরা।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এফএ/এএসএম