বাঙালি সমাজে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর আজও এক প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। আসল নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা নামেও স্বাক্ষর করতেন তিনি। উনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য সংস্কৃত কলেজ থেকে ১৮৩৯ সালে তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন।
সাহিত্যের জন্য পরিচিত হলেও বেশ রসিক মানুষ ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। কাছের মানুষদের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই মজা করতেন। একদিন সকালে বৈঠকখানায় বসে লেখালেখি করছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। হঠাৎ সেখানে এসে হাজির হলো পাড়ার এক মাতাল ব্রাহ্মণ।
ব্রাহ্মণ বিদ্যাসাগরকে বললেন, ‘বাবা দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর, গরীব বামুনকে দশটা টাকা দাও, একটু দেশি মাল কিনে খাই।’
বিদ্যাসাগর ব্রাহ্মণকে রেগে গিয়ে বললেন, ‘দুর হয়ে যা আমার সামনে থেকে। আমি কোন মাতালকে টাকা দেইনা।’
এবার ব্রাহ্মণ, ‘তুমিতো মাইকেল মধু সুদনকে নিয়মিত টাকা দাও। সেই টাকা দিয়ে সে বিদেশি মাল খায় আর আমি দেশি মাল খাবো তাও তুমি টাকা দেবেনা?’
বিদ্যাসাগর তো আরও রেগে গেলেন। এবার তিনি বললেন, তোমাকেও দিতুম, যদি তুমি ‘মেঘনাদ বধ’ কাব্যের মত একটা বই লিখতে পারতে।
লেখা: সংগৃহীতছবি: সংগৃহীত
প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যে কোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।
কেএসকে/এএসএম