ধর্ম

মা-বাবাকে গালি দেওয়া সম্পর্কে যা বলেছেন নবিজী (সা.)

যদি প্রশ্ন করা হয়, মানুষের মাঝে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার অধিক হকদার কে? তবে উত্তর আসবে ‘মা’। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ নসিহত পেশ করেছেন। আবার বাবা-মাকে গালি দেওয়া থেকে বিরত থাকার ব্যাপারেও তিনি নসিহত পেশ করেছেন। কী সেই নসিহত?

বাবা-মায়ের অধিকার সম্পর্কে হাদিসে পাকে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুস্পষ্ট ঘোষণা-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, এক লোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমার কাছে কে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার অধিক হকদার? তিনি বললেন, তোমার মা। লোকটি বললো, তারপর কে? নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমার মা। সে বললো এরপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। সে বললো, এরপর কে? তিনি বললেন, এরপর তোমার বাবা।’ (বুখারি, মুসলিম)

মা-বাবাকে গালি দেওয়া কবিরা গুনাহ। এ সম্পর্কে চমৎকার একটি হাদিস পেশ করেছেন। যেখানে নিজের মা-বাবাকে নয়, বরং অন্যের মা-বাবাকে গালি দিলেই নিজের মা-বাবার ওপর এ গালি পতিত হবে। তাই মা-বাবাকে গালি থেকে মুক্ত রাখতে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসটি এভাবে বর্ণনা করেন-

হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কবিরা গুনাহসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো নিজের মা-বাবাকে লানত (অভিশাপ) করা। জিজ্ঞাসা করা হলো- হে আল্লাহর রাসুল! আপন মা-বাবাকে কোনো লোক কীভাবে লাত করতে পারে? তিনি বললেন, সে (যখন) অন্যের বাবাকে গালি দেয়, তখন সে তার (নিজ) বাবাকে গালি দেয় এবং সে (যখন) অন্যের মাকে গালি দেয়, তখন সে তার (নিজ) মাকে গালি দেয়।’ (বুখারি, মুসলিম ও মুসনাদে আহমাদ)

সুতরাং কাউকে বা কারো বাবা-মাকে গালি দেওয়া যাবে না। কারণ অন্যকে বা অন্যের বাবা-মাকে গালি দেওয়ার অর্থই হচ্ছে নিজেকে বা নিজের বাবা-মাকে গালি দেওয়া তথা অভিশপ্ত করা। সবার জন্য নবিজীর এ হাদিস শিক্ষা গ্রহণ করা জরুরি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নবিজীর হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। অন্যকে বা অন্যের বাবা-মাকে গালি দেওয়া থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম