ফরিদপুরের নগরকান্দায় উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভায় হট্টগোল ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
রোববার (৭ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরকান্দা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দুটি কমিটি। যার একটির সভাপতি বিধান মন্ডল ও অপরটির সভাপতি মনোরঞ্জন বিশ্বাস। দুই কমিটির জন্য বিভিন্ন সময় প্রশাসনিক ও সামাজিক জটিলতা তৈরি হয়। তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেন। উদ্দেশ্য ছিল দুই পক্ষের বিবাদ মিটিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে গ্রহণযোগ্য একটি কমিটি গঠন করা।
সেজন্য সভার আয়োজন করা হয়। সভা চলাকালীন বিধান মন্ডল ও মনোরঞ্জন বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে তারা হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপস্থিত আনসার সদস্যরা তাদের থামানোর চেষ্টা করেন। উদ্ভূত এ ঘটনায় কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়।
নগরকান্দা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক তরুণ পোদ্দার জাগো নিউজকে বলেন, ‘মেয়রের নির্দেশে সভা চলাকালীন সবার সামনে আমাকে মারধর করা হয়। এরপর সভা থেকে বাইরে এলে আমার ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করা হয়।’
এ বিষয়ে নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র ও পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি নিমাই চন্দ্র সরকার জাগো নিউজকে বলেন, ‘ইউএনও অত্যন্ত ভালো একটা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি সফল হয়নি। যেটি ঘটেছে তা ন্যাক্কারজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিধান মন্ডল ও মনোরঞ্জন বিশ্বাসের সমর্থকরা কথা-কাটাকাটি থেকে মারামারিতে লিপ্ত হন। সভা চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে এখন কোনো সমস্যা নেই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম ইমাম রাজী টুলু জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। এখনো সবাইকে সেভাবে চিনি না। এখানে পূজা উদযাপন পরিষদের দুটি কমিটি। প্রতিদিনই দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে নালিশ করে। আবার তারাই আমাকে বলেছে সবাইকে নিয়ে বসে দুই পক্ষকে এক করে দিতে। সেজন্যই সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু হট্টগোলের কারণে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ করতে হয়। পরে তাদের দুই পক্ষকে বোঝানো হয়েছে এটি নিয়ে যেন তারা আর কোনো ঝামেলা না করে।’
এন কে বি নয়ন/এসআর/জিকেএস