পাখপাখালি দেশের রত্ন, আসুন করি সবাই যত্ন- এই স্লোগানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেল ১৪তম পাখি মেলা। বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফারজানা ইসলাম বলেন, আমরা এ ধরনের আয়োজন চালিয়ে যেতে থাকবো। দর্শনার্থীদের নিয়মিত এ ধরনের মেলায় অংশগ্রহন করার আহ্বানও জানান তিনি। প্রকৃতি ও জীবনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, পাখি তার বিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের সর্বত্র গাছের বীজ ছড়িয়ে দিচ্ছে। এর মাধ্যমে সার ও গাছ তৈরি হচ্ছে। তাই বলা যায় পাখি শুধুমাত্র সৌন্দর্যেরই পাখি নয়, পাখির সাথে আমাদের জীবনের অনেক কিছু জড়িয়ে গেছে।পাখিমেলার আহ্বায়ক ড. মো. কামরুল হাসান বলেন, এই মেলার মাধ্যমে পাখি ও অন্যান্য জৈব-বৈচিত্র্য আমাদেরই এই বার্তাটি ছড়িয়ে দিতে চাই, পাখি ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকবো।পাখি নিয়ে কাজ করার জন্য বরিশালের আব্দুল মজিদ শাহ শাকিল, মৌলভীবাজারের সৈয়দ মো. রাতুল ও শাহরিয়ার রসিদকে ‘বিগ বার্ড অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. সাজেদা বেগমের পাখিবিষয়ক ‘বার্ডস অব জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।মেলার আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি দেখা প্রতিযোগিতায় ছয়টি দল অংশ নেয়। এছাড়া শিশু-কিশোরদের জন্য পাখির ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা দুইটি গ্রুপে ১০১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।মেলায় অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে ছিল- টেলিস্কোপে শিশু-কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, স্টল সাজানো প্রতিযোগিতা (পাখির আলোকচিত্র ও পত্র-পত্রিকা প্রদর্শনী), আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি চেনা প্রতিযোগিতা (অডিও-ভিডিওর মাধ্যমে), পাখি বিষয়ক প্রতিযোগিতা (সকলের জন্য উন্মুক্ত)। হাফিজুর রহমান/এনএফ/আরএস