দেশজুড়ে

রাঙ্গামাটিতে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে সিজারের সময় চিকিৎসকের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টম্বর) সকালে হাসপাতালে রোগীর স্বজনরা এ অভিযোগ করেন।

স্বজনদের অভিযোগ, ওই প্রসূতিকে অস্ত্রোপচার কক্ষে (ওটি) নিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা ফেলে রাখা হয়। পরে সিজারে ছেলে শিশুর জন্ম হয়। তবে এর কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক শিশুটি মারা গেছেন বলে জানান। জন্মের পর শিশুর বুকে, পায়ে ও গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্নি দেখতে পাওয়া যায়।

নবজাতকটির বাবার নাম সজিব মিয়া। তার বাড়ি রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার রিজার্ভ বাজার এলাকায়।

প্রসূতির শাশুড়ি ফিরোজা বেগম বলেন, সকালে ছেলে বউয়ের অবস্থা ভালো না দেখে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলি। তারা সিজার করার জন্য বলেন। সিজার রুমে প্রায় তিন ঘণ্টা ফেলে রাখার পর সিজার করা হয়। পরে নাতির গায়ে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই। তিনি বলেন, চিকিৎসকের অবহেলায় আমার নাতির মৃত্যু হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।

ওই নারীর স্বামী সজিব মিয়া বলেন, ‘গতকাল রাতে আমার স্ত্রীর প্রসব ব্যথা উঠলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাই। ভর্তির পর থেকে নার্স ও কর্তব্যরত কোনো চিকিৎসক রোগীকে দেখতে আসেননি। সকালে ব্যথা বেড়ে গেলে তাকে ওটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আমার স্ত্রী একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। পরে চিকিৎসক জানায় আমার সন্তান মারা গেছে।’

এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের গাইনি কানসালট্যান্ট ডা. তহমিনা দেওয়ান বলেন, ‘রাতে ভর্তি করায় আমরা ওই রোগীকে সকালে সিজার করাই। আর সিজারের কারণে বাচ্চা আঘাত পেলে সাধারণত মাথায় বা কপালে পেয়ে থাকে। এটি সিজারের কারণে হয়নি। এটি অন্য কারণে হতে পারে। বিষয়টি আমরা আলোচনা করছি, কেন এমন হলো।’ তিনি আরও বলেন, ওই প্রসূতির আগেই রক্ত স্বল্পতা ছিল। সেটি আগে জানানো হয়েছিল। তাই সিজার করতে সময় লাগে।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শওকত আকবর বলেন, ‘যখন নরমাল ডেলিভারি সম্ভব হচ্ছিল না তখন গাইনি কানসালট্যান্টের পরামর্শে সিজার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু যে কোনো কারণেই হোক না কেন আমরা বাচ্চাটিকে বাঁচাতে পারিনি। এখানে রোগীর রক্ত শূন্যতার বিষয়টি আছে। তাৎক্ষণিকভাবে রক্তের ব্যবস্থাও করতে পারিনি।’

এসআর/জিকেএস