আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেছেন, আমরা বুড়িগঙ্গাকে দখলমুক্ত করেই ছাড়বো। নদী দখলমুক্ত করলে অনেকের বাড়িঘর ভাঙা পড়বে। কিন্তু অবৈধ কেউ আমাদের সাহায্য পাবে না।
Advertisement
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) কামরাঙ্গীরচর মুসলিমবাগ টাওয়ার মাঠে অনুষ্ঠিত দূষণমুক্ত নদীর প্রত্যয়ে ‘বুড়িগঙ্গা নদী কার্নিভাল ২০২২’ উপলক্ষে র্যালি শুরুর আগে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, সরকারি দলের লোকেরাই নদী দখল করে। কিন্তু বাস্তবে এসব দখলবাজ কোনো দলের নয়, এরা সব সরকারেরই পিঠে ছাওয়ার হয়। লন্ডনের টেম্প নদী দখলমুক্ত করতে ৪০ বছর লেগেছে, চীনের হোয়াংহো নদী দখলমুক্ত করতেও অনেক সময় লেগেছিল। আমরা বুড়িগঙ্গাকে দখলমুক্ত করেই ছাড়বো।
কামরুল ইসলাম আরও বলেন, নদী দখলমুক্ত করলে অনেকের বাড়িঘর ভাঙা পড়বে। কিন্তু কেউ আমাদের সাহায্য পাবে না। আশপাশে রাস্তা হবে, ওয়াটার বাস চালু হবে। এটা হলে শহরের যানজট অনেকটা কমবে।
Advertisement
বিআইডব্লিউটিএ’র প্রধান প্রকৌশলী ও ড্রেজিং প্রকল্পের প্রধান রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীকে প্রাণ দিতে এরই মধ্যে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে পানি এনে সচল করতে কাজ করছে সরকার। শিগগির এ কর্মযজ্ঞ ঢাকাবাসীর চোখে পড়বে।
এসময় ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির, ইউএস এইড বাংলাদেশের ডিরেক্টর ক্রিস্টিন ম্যাক্রেস, পরিবেশ আন্দোলন বাপার সাধারণ সম্পাদক জামিল শরীফসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে দূষণমুক্ত বুড়িগঙ্গা নদী, ঢাকাবাসীর প্রাণের দাবির পক্ষে একটি নৌ-র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
এমআইএস/এমআইএইচএস/এএসএম
Advertisement