দেশজুড়ে

রাষ্ট্রপতির নামফলক ভেঙে দেয়া সেই র‌্যাব কর্মকর্তা প্রত্যাহার

কিশোরগঞ্জ টেক্সটাইল মিলে দেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের স্থাপিত মিলের উদ্বোধনী ভিত্তিপ্রস্তর ভেঙে ফেলার ঘটনায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর রিয়াদুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে ময়মনসিংহে র‌্যাব-১৪ এর প্রধান কার্যালয়ে ক্লোজড করা হয়েছে বলে জানান কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের এএসপি রাজিব কুমার দে।এদিকে সৈয়দ নজরুল ইসলামের ভিত্তিফলক সরিয়ে নিজের নামে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করায় মেজর রিয়াদের শাস্তি দাবি করে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে কিশোরগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড।জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শুনান জেলা মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ডের সদস্য সচিব এনায়েত করিম অমি। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আসাদ উল্লাহসহ মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে মেজর রিয়াদুল ইসলামকে গ্রেফতারসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ৫ মার্চ যশোদলে বাংলাদেশ ট্রেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন নিয়ন্ত্রিত কিশোরগঞ্জ টেক্সটাইল মিলস এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সেসময়কার উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের যশোদল এলাকায় ১৯৭৫ সালের ৫ মার্চ কিশোরগঞ্জ টেক্সটাইলস মিলটি বর্তমানে বন্ধ আছে। এটি র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২ এর প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি মিলের ভেতর মসজিদের সামনে স্থাপিত সৈয়দ নজরুল ইসলামের ভিত্তিফলকটি ভেঙে ফেলা হয়। ক্যাম্পের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার নির্দেশে এটি ভেঙে ফেলা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর ওই স্থানে মসজিদের সামনে লাগানো হয় র‌্যাব-১৪ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. রিয়াদুল ইসলামের নাম। এতে লেখা আছে ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-২, র‌্যাব-১৪ এর অস্থায়ী কার্যালয় ও কিশোরগঞ্জ টেক্সটাইল মিলস জামে মসজিদ সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন, মেজর মো. রিয়াদুল ইসলাম। এতে তারিখ লেখা আছে ৫ ফেব্রুয়ারি।এ ঘটনায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের পরিবারসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। নূর মোহাম্মদ/এমএএস/এমএস