ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়কদের তালিকায় ইতিমধ্যেই নাম লিখিয়ে ফেলেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তার নেতৃত্বে দুটি বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি টেস্ট এবং ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে ভারতকে তুলেছেন শীর্ষস্থানে। দীর্ঘদিন ভারতকে করে তুলেছিলেন অপরাজেয়, দুর্বোধ্য। এবার বুঝি ধোনির অর্জিত সম্মান ধুলায় মিশে যাওয়ার জোগাড়! খোদ তার বিরুদ্ধেই উঠে গেলো ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ! হিন্দি ভাষার দৈনিক সান স্টারের মাধ্যমে দিল্লি ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুনীল দেব অভিযোগ তুলেছেন, ধোনির নেতৃত্বে ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যানচেস্টারে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে ম্যাচটি ফিক্সিং করা হয়েছিল। ভারতের টিম মিটিংয়ে নাকি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল ম্যানচেস্টারের ভেজা উইকেটে টস জিতলে প্রথমে ফিল্ডিং নেবে ভারত। কিন্তু টস জেতার পরও ধোনির ফিল্ডিং নেয়ার সিদ্ধান্ত অবশ্যই সন্দেহজনক। যার ফলে ভারত তিনদিনেই ম্যাচ হেরেছিল ইনিংস এবং ৫৪ রানের ব্যবধানে।সুনীল দেবের এই অভিযোগের পর থেকে শুধু ভারতীয় ক্রিকেটাঙ্গনই নয়, পুরো বিশ্ব ক্রিকেটের তোলপাড়। সবাই`ই চায় এই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হোক কিংবা এই অভিযোগের ভিত্তি কী, তাও জানতে চায়। অভিযোগকারী সুনীল দেব, অভিযোগ করেই সারা।কিন্তু এমন গুরুতর অভিযোগের পর চুপ করে বসে থাকার পাত্র নন মহেন্দ্র সিং ধোনিও। অভিযোগকারী সুনীল দেবের অভিযোগকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে তার কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে ধোনির পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য, সুনীল দেব কিন্তু, ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে ভারতীয় দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন।দিল্লিভিত্তির ধোনির আইনজীবী প্রতিষ্ঠান সি অ্যান্ড সি অ্যাসোসিয়েটসের প্যাডে সুনীল দেবের কাছে ৯ পাতার নোটিশ পাঠানো হয়। যেখানে বলা হয়েছেন, ‘কিছু স্থিরচিত্রের ওপর ভিত্তি করে একটি ভিডিও বানানো হয়েছে। যেটার ওপর ভিত্তি করে সুনীল এই অভিযোগ এনেছেন যা শুধুমাত্র একটা গুজব ছাড়া আর কিছুই না। এর মাধ্যমে আমার মক্কেলকে অসুবিধায় ফেলা হয়েছে। এমনকি এই নাম মাত্র ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা যে সূত্রের কথা বলেছে সেটাও মিথ্যে।’ ধোনির আইনজীবী রাজনেশ চোপড়া ও প্রতীক মালিক ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তাঁদের এই নোটিশের জবাব চেয়েছেন। ধোনির আইনজীবীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘সঠিক তথ্যসহ এই নোটিশের উত্তর না দেওয়া হলে আমরা সুনীলের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা মানহানির মামলা করবো।’আইএইচএস/আরআইপি