বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাবেশ শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ময়মনসিংহ পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট মাঠে এ সমাবেশ হবে। এতে যোগ দিতে সকাল থেকে বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা ময়মনসিংহের পথে যাত্রা করেন। তবে পথে পথে পুলিশ ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন অভিযোগ তাদের।
নেত্রকোনা পারলা বাসস্ট্যান্ড থেকে শ্যামগঞ্জ মোড় পর্যন্ত যেতে অন্তত চারটি স্থানে পুলিশের চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। বন্ধ আছে, বাস, সিএনজিসহ সব ধরনের যান। তবে অটোরিকশাযোগে যারা বিভিন্ন কাজে যাচ্ছেন তাদের চেক করা হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সাদা পোশাকে ডিবি ও থানা পুলিশ তাদের গাড়ি চেক করছে। গাড়ির কাগজপত্র চেক করার নামে হয়রানি করা হচ্ছে। এতে বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে যেতে পারছেন না। সমাবেশে আসা অনেকগুলো গাড়িকে মাঝপথে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
নেত্রকোনা জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সকালে দলের নেতাকর্মীরা যখন রওনা দেন তখন ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের গাড়ি আটকায়। তারা কোথায় যাবেন, কেন যাবেন এবং তাদের পরিচয় জানতে চেয়েছেন। পরে কয়েকটি গাড়ি ছেড়ে দিলেও বেশকিছু গাড়ি আটকে দেয়। হামলার ঘটনা না ঘটলেও নানাভাবে হেনস্থা করা হয়েছে।’
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘জেলার দশ উপজেলা থেকেই নেতাকর্মীদের আসতে পথে পথে পুলিশ ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের দিয়ে বাধা সৃষ্টি করছে। সরকার ভয় পেয়ে শুক্রবার দুপুর থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। নেতাকর্মীদের চেক করে টাকা পয়সা রেখে তাদের হেনস্থা করেছে। এ ছাড়া শুক্রবার রাতে যারা হোটেলে ছিলেন সেখানে পুলিশ তাদের তল্লাশি করেছে এবং শারীরিকভাবে হয়রানি করেছে।’
সমাবেশে যেতে পুলিশের বাধার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, আমরা নিয়মিত চেকপোস্টে পর্যবেক্ষণ করছি। তবে বাধা দেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়।
এইচ এম কামাল/এসজে/এমএস