বক্তারা সবাই পাকিস্তান বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানাচ্ছেন সবাই বেশ জোরালোভাবে। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানের সঙ্গে সকল একাডেমিক কার্যক্রম বাতিল করায় প্রশংসাও করলেন কেউ কেউ। আরেকজন খেলাধুলা-সাংস্কৃতিকসহ পাকিস্তানের সঙ্গে সকল কর্মকাণ্ড স্থগিত করার দাবি জানালেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয় যেন রীতিমত পাকিস্তানবিরোধী হয়ে ওঠে।বৈঠকের এক পর্যায়ে বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ওমর ফারুক তার বক্তব্যে বলেন, “সবাই পাকিস্তানবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছি, ভালো কথা। কিন্তু আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যেখানে বৈঠক করছি, সেখানে মাথার উপরে ঘুরছে পাকিস্তানের তৈরি ফ্যান।”তিনি আরো বলেন, “পাকিস্তানের সব কিছু পরিত্যাগ করতে হবে। পাকিস্তানের তৈরি পাক এবং জিএফসি ফ্যানে বাংলাদেশ ভরে গেছে। তাদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ত্যাগ করা সময়ের দাবি।”পাকিস্তানের তৈরি ফ্যান নিয়ে ওমর ফারুকের করা এমন মন্তব্যে সবাই উপরের দিকে তাকিয়ে ঘূর্ণিয়মান তিনটি ফ্যানকে প্রত্যক্ষ করেন। এ সময় কেউ কেউ হাসাহাসি করেন, কেউ টিপ্পনি কাটেন, আবার কেউ কেউ ফ্যান তিনটি বন্ধ করার আহ্বানও জানান। কানাঘুষা করেন উপস্থিত সাংবাদিকরাও। ফ্যানের সুইচ বন্ধ করার দাবি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপও।কিন্তু বক্তব্যের আড়ালে সবাই ভুলে যায় ফ্যানের সুইচ বন্ধ করার কথা। বৈঠক শেষ হলেও ঘুরতে থাকে ফ্যান তিনটি।বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থানের প্রতিবাদে ১৫ ফেব্রুয়ারির মানববন্ধন উপলক্ষে এ বৈঠকে মিলিত হন ১৪ দল ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।এএসএস/আরএস/পিআর