দেশজুড়ে

বেনাপোলে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ পুলিশ

যশোর-কলকাতা মহাসড়কের দু‘পাশে বেনাপোল বাজারের ফুটপাতের উপর বসা ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উচ্ছেদ অভিযান শেষ করে ফিরে যাওয়ার পর আবারো ফুটপাতে বসে যান ব্যবসায়ীরা।ফলে প্রধান সড়কের দু‘পাশ দখলমুক্ত হচ্ছে না। উচ্ছেদের সময় হাইওয়ে পুলিশকে সাধুবাদ জানালেও পরে নানা গুঞ্জন উঠেছে সাধারণ মানুষের মাঝে। পৌর কর্তৃপক্ষের নীরবতা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজালের।জানা গেছে, যানজট কমাতে বেনাপোল পৌরসভা কয়েক কোটি টাকা খরচ করে সড়কের পাশে সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য ফুটপাত নির্মাণ করে। সেই ফুটপাত দিয়ে সাধারণ মানুষের হাঁটা তো দূরে থাক তার উপর নানা সবজি, চা পান, মাংস, ফল, হাড়ি পাতিল, বিস্কুটের দোকান বসানো হয়েছে।  এমনকি  হোটেলের রান্না পর্যন্ত করা হয় ফুটপাতে। মাঝে মধ্যে ভ্যান, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল চালতে দেখা যায় ফুটপাত দিয়ে।আস্তে আস্তে ব্যবসায়ীরা ফুটপাত ছাড়াও প্রধান সড়কের দু‘পাশের একাংশ দখল করে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাঁচাবাজার বসিয়ে চুটিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। এর ফলে দূরপাল্লার যানবাহনসহ আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সৃস্টি হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা দুর্ঘটনা।শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল সালামের নেতৃত্বে কয়েক দফায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পুলিশ। ফুটপাতের উপর থেকে উচ্ছেদ করা হয় কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। জরিমানা আদায় করা হয়। তারপরও বন্ধ হয়নি ফুটপাতে গড়ে ওঠা বাজার।বৃহস্পতিবার নাভারন হাইওয়ে পুলিশ আরো এক দফা উচ্ছেদ অভিযান চালায় বাজারে। তারা চলে যাওয়ার পর আবারো ফুটপাত দখল করে নেয় ব্যবসায়ীরা। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ রহস্যময় কারণে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বাজার কমিটিও রয়েছে নীরব।নাভারন হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বুলবুল আহম্মেদ উচ্ছেদ অভিযানের সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমরা চলে আসার পর আবারো তারা ওই স্থানে বসে গেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ ও সর্বসাধারণের সহযোগিতা পেলে বেনাপোল সড়কের উপর থেকে অবৈধ দখলমুক্ত করতে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবেন বলে জানান।বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন জানান, বেনাপোলকে পরিচ্ছন্ন ও মডেল শহরে রূপান্তর করতে কাজ করছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে সচেতন পৌর নাগরিকদের সার্বিক সহযোগিতা চান তিনি। ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্যে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।মো. জামাল হোসেন