চরের গল্প, মানুষ আর প্রকৃতির অনাবিল সৌন্দর্যের মধ্যেই চলছে তরুণ নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতির প্রথম সিনেমা ‘নয়া মানুষ’র শুটিং। ছবির শুটিংয় প্রায় শেষের পথে।
ছবিটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করছেন রওনক হাসান এবং মৌসুমী হামিদ। গত ১৩ অক্টোবর থেকে চলছে সিনেমাটির শুটিং। আ. মা. ম. হাসানুজ্জামানের বেদনার বালুচর গল্প অবলম্বনে মাসুম রেজার চিত্রনাট্যে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্রটি।
এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে দুর্গম চরের শুটিংয়ের ছবি প্রকাশ করে মানুষের আগ্রহ তৈরি করেছেন রওনক হাসান। তিনি বলেন, চরিত্রটা আমার জন্য খুব উপভোগ্য। পাশাপাশি যে চরে শুটিং করছি সেটা খুব সুন্দর। সবমিলিয়ে ভালো লাগছে। টিমের সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে সব কষ্ট ভুলে কাজ করে যাচ্ছেন।
‘নয়া মানুষ’ ছবিতে মৌসুমীর অভিনীত চরিত্রের নাম সুজলা। তবে পুরোপুরি সুজলা হতে নির্ভর করতে হচ্ছে পরিচালকের ওপর। কারণ হিসেবে বলেন, ‘এই সিনেমাটির অফার আমার কাছে একেবারেই হুট করে। তারপর প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য খুব বেশি সময় পাইনি। আমি সাধারণ সিনেমার শুটিংয়ের আগে বেশ কিছুদিন সময় নিই। চরিত্রটা নিজের মধ্যে লালন-পালন করি। তারপর শুটিংয়ে যাই। কিন্তু এবার সেটা হওয়ার সুযোগ হচ্ছে না। পরিচালক বলেছেন তিনি সহযোগিতা করবেন। ভরসা এখন উনি।’
গল্প প্রসঙ্গে পরিচালক সোহেল রানা জানান, ‘নদীর এক কূল ভেঙে অন্য কূল গড়ে- তেমনি ভাসতে ভাসতে মানুষও এক চর থেকে আরেক চরে চলে যায়। নতুন মানুষ চরে এলে কীরকম সংকট বা সমস্যার সৃষ্টি হয় সেটা নিয়েই গল্প। এটির মধ্যে প্রেম, প্রকৃতি, ভালোবাসার ও জীবনদর্শনের গল্পও দেখবেন দর্শক।’
চলচ্চিত্রটিতে আরও অভিনয় করেছেন আশিষ খন্দকার, বদরুদ্দোজা, সরন সাহা,আ.মা.ম হাসানুজ্জামান, নিলুফার ওয়াহিদ পাপড়ি, সানজানা,পারভিন পারু, মাহিন রহমান, এ্যাঞ্জেলা, শিশু শিল্পী উষশীসহ চরের প্রায় ২০০ বাসিন্দা।
একটানা শুটিং শেষ করে এ মাসের শেষে ঢাকায় ফিরবে পুরো ইউনিট। চলতি বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে মুক্তি পেতে পারে ‘নয়া মানুষ’ সিনেমাটি।
এমআই/এমএমএফ/জেআইএম