দেশজুড়ে

নেত্রকোনায় আহত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হাসান মিয়া (২৮) মারা গেছেন। বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। হাসান মিয়াউপজেলার বাকরপুর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে। তিনি অটোরিকশা চালাতেন

এর আগে সকালে উপজেলার নওহাল বাস স্টেশন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে একটি অটোরিকশা যোগে কয়েকজন যাত্রী রেলস্টেশন এলাকায় যান। পরে অটোরিকশার টোল নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরামপুর গ্রামের এক চালককে মারধর করেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর ১২টার দিকে শুরু হয় দফায় দফায় সংঘর্ষ। এসময় ১৫টি দোকানপাট, কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ও ১০ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।

সংঘর্ষে মোহনগঞ্জ থানার এসআই মমতাজ উদ্দিনসহ চার পুলিশ সদস্য, সাংবাদিক এসএম সারোয়ার খোকন, নূরুন্নবী মিয়া, সোহাগ মিয়া, বিকাশ মিয়া, সাইদুর রহমান, শ্রাবণী আক্তার, শারিক মিয়া, নূরুল আমিন, রতন মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, রাব্বি মিয়া, শাহিন মিয়া, রেজাউল করিম, আলী হোসেন, রানা মিয়া, তানভীর আহমেদ, জুমন মিয়া, শাহ আলম, নাজিমুল ইসলাম, আলিম পাঠান, হাসান মিয়া, আকাশ মিয়া, শহীদ আলম, মাসুম মিয়া, কিবরিয়া, জোসেফ মিয়া, বাবুল মিয়াসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। এদের মধ্যে আকাশ মিয়া ও জোসেফ মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেন, সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এইচ এম কামাল/আরএইচ/এএসএম