একদিন বিরতি দিয়ে সোমবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ‘ইনট্রিগেটেড চেকপোস্টের’ ট্রাক পার্কিং চার্জ বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা ধর্মঘটের কারণে দু‘দেশের বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।পেট্রাপোল স্থলবন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।এদিকে ধর্মঘটের কারণে বন্দরের দু’পাশে আমদানি-রফতানি পণ্য নিয়ে ৭ শতাধিক ট্রাক আটকা পড়ে আছে। এসব পণ্যের মধ্যে মাছ, পেঁয়াজ, ফুলসহ বিভিন্ন প্রকারের কাঁচামাল রয়েছে। দ্রুত ধর্মঘট প্রত্যাহার করা না হলে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।পেট্রাপোল বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, ভারতের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় ‘ইনট্রিগেটেড চেকপোস্টে আমদানি-রফতানি পণ্যের ট্রাক পার্কিং চার্জসহ বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ হঠাৎ করে অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া বাণিজ্যিক কাজে সেখানে ব্যবসায়ীদের প্রবেশের উপর নানা বিধি-নিষেধ ও নিয়ম কানুন বেধে দেওয়া হয়েছে। এতে একদিকে দ্রুত বাণিজ্যে বাধা সৃষ্টি হবে, অন্যদিকে অতিরিক্ত খরচ পড়ে যাবে। এসব অনিয়মের প্রতিবাদে সভা ডেকে গত শনিবার আমদানি-রফতানি বন্ধ রাখা হয়েছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিলে শনিবার সন্ধ্যায় আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেই। কিন্তু রোববার পেরিয়ে গেলেও আমাদের দাবি মানা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা সোমবার সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে সকল প্রকার আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রেখেছি। আমাদের দাবি মানা হলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে।জানা যায়, পেট্রাপোল বন্দর টার্মিনালে আগে পণ্যবাহী ৪ চাকা লরির (ট্রাক) প্রতিদিনের পার্কিং চার্জ ৮০ রুপি থেকে বাড়িয়ে ২৭০ রুপিতে করা হয়েছে। আর ১৬ চাকা লরির (ট্রাক) পার্কিং চার্জ ১২০ রুপি থেকে ৫৬০ রুপিতে বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া বাণিজ্যিক কাজে ইনট্রিগেটেড চেকপোস্ট প্রবেশ করতে ঘণ্টা প্রতি চার্জ নির্ধারণ করা হচ্ছে।বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাধারণত সকাল ৯টা থেকেই এপথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়। কিন্তু ওপারে ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে এখনও পর্যন্ত কোনো পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি। তবে পাসপোর্ট যাত্রীরা স্বাভাবিক যাতায়াত করছে।জামাল হোসেন/এমএএস/আরআইপি