ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ইনটিগ্রেটেড চেকপোস্টের (সুসংহত চেকপোস্ট) ট্রাক পার্কিংয়ে চার্জ বৃদ্ধির প্রতিবাদে ওপারের বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের ডাকা ধর্মঘটে বেনাপোল বন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। এতে পচনশীল পণ্যসহ অন্যান্য পণ্য নিয়ে সীমান্তের দুই পাশে আটকা পড়েছে কয়েক’শ ট্রাক। পেট্রাপোল বন্দর কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, পেট্রাপোল বন্দর ‘ইনটিগ্রেটেড চেকপোস্ট’ (সুসংহত চেকপোস্ট) চালুর পর আমদানি-রফতানি পণ্যের ট্রাক পার্কিং চার্জ হঠাৎ করে কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের জন্য বন্দরে প্রবেশে ঘণ্টা হিসেবে চার্জও দিতে হবে। এসব অনিয়মের প্রতিবাদে সভা ডেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি আমদানি-রফতানি বন্ধ রাখা হয়। তখন বন্দর কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছিলেন দু’দিনের মধ্যে সন্তোষজনক সমাধান দেয়ার কিন্তু বন্দর ব্যবহারকারীদের বেধে দেয়া সময় ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরের মধ্যে সমাধান না হওয়ায় লাগাতার ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার ধর্মঘট চলবে বলেও জানান তিনি।পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি রফতানিকারক রেজাউল ইসলাম জানান, পেট্রাপোল বন্দর টার্মিনালে আগে পণ্যবাহী চার চাকা লরির (ট্রাক) প্রতিদিনের পার্কিং চার্জ ছিল ৮০ রুপি। এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৭০ রুপি। আর ১৬ চাকা লরির (ট্রাক) পার্কিং চার্জ ১২০ রুপি থেকে ৫৬০ রুপি করা হয়েছে। ব্যবসায়িক কাজে ব্যবসায়ীদের প্রবেশের উপর নানা বিধি-নিষেধ ও নিয়ম-কানুন বেধে দেয়া হয়েছে। এতে একদিকে দ্রুত বাণিজ্যে বাধা সৃষ্টি হবে অন্যদিকে অতিরিক্ত খরচ পড়বে। ব্যবসায়িক কাজে ‘ইনটিগ্রেটেড চেকপোস্টে’ ঢুকতে ঘণ্টা প্রতি চার্জ নির্ধারণ করা হচ্ছে। এতে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে খরচ বাড়লে তার প্রভাবও পড়বে ব্যবসায়ীদের উপর।বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হাসাবুল ইসলাম জানান, ওপারে ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের কারণে এখন পর্যন্ত কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি। তবে বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাসের পর খালি ট্রাক মেইন গেট দিয়ে ভারত ফিরে যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে পেট্রাপোল বন্দর ও কাস্টমসে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত একটা সমাধানের মধ্য দিয়ে বাণিজ্য সচল হবে।উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে ভারতের ল্যান্ডপোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যান ওয়াইএস সেরওয়াত ও বাংলাশের স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চৌধুরী ফিতা কেটে ‘ইনটিগ্রেটেড চেকপোস্টের (সু-সংহত চেকপোস্ট) কার্যক্রম পরীক্ষামূলক চালু করেন। এই চেকপোস্টের নিরাপত্তার দায়িত্ব পেয়েছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। জামাল হোসেন/এসএস/এমএস