দেশজুড়ে

ফের কর্মচঞ্চল ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতপাড়া

অচলাবস্থা কাটিয়ে কর্মব্যস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত পাড়া। রোববার (১৫ জানুয়ারি) থেকে দুটি বাদে সব আদালতে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছেন আইনজীবীরা। সাত কর্মদিবস বর্জনের পর আদালতে এসে উচ্ছ্বসিত আইনজীবী ও বিচার প্রার্থীরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, আজ থেকে আমরা আদালতে যোগদান করেছি। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী আমাদের ডেকেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে আইনমন্ত্রীর বাসভবনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে আমরা সিদ্ধান্ত দিয়েছি। অভিযুক্ত দুই বিচারক বাদে বাকি সব আদালতের শুনানিতে আমরা অংশগ্রহণ করবো। পরে শনিবার জেলা আইনজীবী সমিতি বিশেষ সভা আহ্বান করে। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয় আগামী ২৪ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া দায়রা ও জেলা জজ এবং নারী-শিশু আদালত ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারককে বদলি না করা হলে আবারও লাগাতার আন্দোলনে যাব আমরা।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও ৩ দিন আদালত বর্জনের ঘোষণা আইনজীবীদের 

এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, আইনজীবীরা আদালতের বিচারিক কাজে অংশ নিচ্ছেন। এতে করে বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।

আদালতে আসা নাসিরনগরের হানিফ মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমার ভাই আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। বুধবার এ মামলার শুনানির কথা ছিল। কিন্তু সেদিন আদালত বন্ধ ছিল। পরে শুনানির তারিখ কবে সেটি জানতে আদালতে এসেছি।

বিজয়নগরের হারিস মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমার ভাইকে সাধারণ একটি মামলায় আটক করে নিয়ে এসেছে পুলিশ। এরমধ্যে আইনজীবীরা আন্দোলন শুরু করে। তাকে একদিনের জন্যেও আদালতে তুলতে পারেনি পুলিশ।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবীদের আদালত বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত

গত ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা দাখিল করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আইনজীবীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সমিতির সভা করে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন। এদিকে বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন আদালতের কর্মচারীরা। এ অবস্থায় জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন আইনজীবীরা। এছাড়াও বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও অশালীন স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ আইনজীবীকে দুই দফায় তলব করেছে উচ্চ আদালত।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/আরএইচ/জিকেএস