জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনকালে প্রকল্প প্রকৌশলীর ওপর হামলা ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেফতারদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। এরা হলেন- সরিষাবাড়ী পৌরসভার শিমলাপল্লী পূর্বপাড়া এলাকার জলিল খাঁর ছেলে মুন্না (৩০) এবং কামরাবাদ ইউনিয়নের কামরাবাদ এলাকার তায়েজ মন্ডলের ছেলে বেলাল (৪২)।
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জনি বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী পৌরসভার কাউন্সিলর সাখাওয়াতুল আলম মুকুলকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ্যসহ ৪০-৫০ জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মুরাদ হাসানের প্রতিনিধি সাখাওয়াতুল আলম মুকুল, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন চাকলাদার, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল মিয়া, দুর্জয়, হারুন, বাবু, মুন্না, আঃ কাদের, বেলাল, ইমরান, সুমন।
এজাহার সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনের জন্য সবধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় মুরাদ হাসান এমপির নামফলক ছিল, উদ্বোধনের আগে সেটি সরিয়ে রাখা হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী নামফলক স্থাপন করা হয়। এমপির নামফলক না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলাকালে হঠাৎ এমপি মুরাদ হাসানের প্রতিনিধি সাখাওয়াতুল আলম মুকুল ও তার লোকজন অতর্কিত হামলা চালান। মাসুদুর রহমান জনিসহ প্রকল্পের লোকজনকে বেধড়ক পিটিয়ে রাস্তা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হামলাকারীরা তাদের তিনটি মোবাইল এবং মসজিদের সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যান।
এ সময় মডেল মসজিদ প্রকল্পের প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জনি (৩২), উপ-ঠিকাদার (সুপারভাইজার) মো. রকিব (৩০), ঠিকাদারের কর্মচারী ওসমান গণি বিপুল (২৮) ও সৌরভ (২৫) গুরুতর আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে মো. রকিব ও ওসমান গণি বিপুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, মসজিদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সোমবার বিশৃঙ্খলা হয়েছিল, পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এজাহারভুক্ত ২ জনকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
নাসিম উদ্দিন/এফএ/এএসএম