সপ্তাহের ব্যবধানে জামালপুরের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি বেগুনের দাম ৭ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।তবে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। এ নিয়ে কৃষকদের মাঝে সামান্য স্বস্তি দেখা দিলেও অখুশি ক্রেতারা।
Advertisement
সরেজমিনে জেলার মেলান্দহ, সদর ও সরিষাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
মো. দুলাল নামের স্থানীয় এক কৃষক বলেন, এবার লোকসানে আছি। সারের দামসহ সবকিছুর দামই বেশি। এক বিঘা জমিতে সার-কীটনাশক ও শ্রমিকসহ খরচ হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা। অথচ বেগুনের যে দাম তাতে সে টাকা ওঠে না। কয়েকদিন আগে পাইকারি বাজারে এক মণ বেগুনের দাম ছিল ১৫০-১৬০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকায়। এভাবে চলতে থাকলে মানুষ আর বেগুন চাষ করবেন না।
মো. মামুন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে বেগুনের দাম ওঠানামা করে। এক সপ্তাহে আগে এক কেজি বেগুন পাইকারি ৮-১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩-১৫ টাকায়। তবে খুচরা বাজারে এ বেগুনের দাম ৩০-৪০ টাকা।
Advertisement
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য কমানো ও ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের দাবি
মেলান্দহ রেলওয়ে বাজারের ব্যবসায়ী সুরুজ্জামান বলেন, প্রতি মণ বেগুনের দাম ৫০০-৫৫০ টাকা। মাঝে ১৬০ টাকায় মণও বিক্রি হয়েছে। তারপর ধীরে ধীরে বেড়ে ৫৫০ টাকা হয়েছে।
তবে সাধারণ ক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। শামীম নামের এক ক্রেতা বলেন, আয় বাড়েনি কিন্তু খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। আগে যেখানে দুই-তিন কেজি সবজি লাগতো সেখানে এক কেজিতে চাহিদা মিটাচ্ছি।
আদর্শ বাণিজ্যালয়ের মালিক বাবু মিয়া বলেন, বাজারে কাঁচামাল ওঠার ওপর দাম নির্ভর করে। বেশ উঠলে দাম কমে, কম উঠলে দাম বাড়ে। খুচরা বাজারে বেগুন ৩০-৪০ টাকা, আলু ৩০-৩৫ টাকা, ফুলকপি ২৫-৩০ টাকা ও টমেটো ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রমজানে এ দাম দ্বিগুণ হতে পারে।
Advertisement
মো. নাসিম উদ্দিন/আরএইচ/জিকেএস