আবু সুফিয়ান রাসেল
Advertisement
নদীর ধারে বসে খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা। তাও আবার পাতে যদি থাকে সাদা ভাত, শাক-সবজি, ডাল, সালাদ আর সঙ্গে বিশেষ পদ হাঁসের মাংস তাহলে তো কথায় নেই! সেদিন এভাবেই জমে উঠেছিল ভোজ উৎসব।
গত ১৪ জানুয়ারি ‘রাইজিং জার্নালিস্ট ফোরাম কুমিল্লা’র সদস্যরা হাঁস ভোজনের আয়োজন করে গোমতীর পাড়ে। সবাই মিলেই আমরা সিদ্ধান্ত নিই, খোলা আকাশের নিচে বসে খাওয়ার। এরপর পরিকল্পনা অনুসারে বুড়িচং গোমতীর নদীর ভান্তির চরে আমরা এই ভোজ উৎসব উদযাপন করি।
আরও পড়ুন: ১০ টাকায় আড্ডা জমে যেখানে
Advertisement
আয়োজনের দিন সবার অগ্রজ খায়রুল আহসান মানিক ভাই, রাইজিং এর স্বপ্ন দ্রষ্টা মহিউদ্দিন মোল্লা ভাই, কৃষিবিদ বানিন রায়, প্রিয় আবদুর রহমান, তৈয়বুর রহমান সোহেল, ইলিয়াস হোসাইন, মহিউদ্দিন আকাশ, আশিক ইরান, আব্দুল্লাহ আল মারুফ সবাই এক গাড়িতে ও আমি বাইকে রওনা হই।
ধূলায় ধূসর গোমতীর আইল জয় করে আমরা হাজির ভান্তি গ্রামে। মূল সড়ক থেকে পাঁচ মিনিট হাঁটার পর ভান্তির চর। গোমতী নদীর পাড়ে বসে খোলা আকাশের নিচে খাবারের আয়োজন।
আরও পড়ুন: কেজি দরে কাপড় কিনতে ভারতের যে মার্কেটে যাবেন
কৃষি জমির উপর তেরপাল বিছিয়ে আমরা বসলাম ১২-১৫ জনের দল। তৈয়বুর রহমান সোহেল ভাইয়ের বেসুরা গান, মহিউদ্দিন আকাশ দাদার তাল-বেতাল ওয়াজ, আশিক ইরান ভাইয়ের হানিফ সংকেতকে কপি করার চেষ্টা। বনিন্দা একটা গল্পে এগিয়ে নিলেন।
Advertisement
নেপথ্যে উৎসাহ দিচ্ছেন আবদুর রহমান ভাই, আব্দুল্লাহ আল মারুফসহ সবাই। সভাপতি মোহাম্মদ শরীফের গান সবার মন জয় করেছে। তবে গান, কবিতা, গল্প আর ওয়াজ শুনে পেট ভরে না। এবার খেতে হবে। আয়োজনের সব ব্যবস্থাপনায় ছিলেন কৃষিবিদ খায়রুল ইসলাম। দুপুরের খাবার শুরু।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট কোনটি?
খোলা আকাশের নিচে একদিকে গোমতী নদী, অন্য দিকে হলদে সরিষা দুলছে। আমরা খাচ্ছি তালগাছগুলো চেয়ে আছে, উঁকি দিয়ে। প্রতিটি মূহুর্ত ক্যামেরা বন্দি করছেন ইলিয়াস ভাই। রাজকীয় ভোজ চলছে। রাজ অতিথিদের আপ্যায়নে শরীফ আংকেল, আমি, মারুফ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে।
সবাই ভোজে ব্যস্ত। খাবারেও মাসুদ ভাইকে নিয়ে আলোচনা। তবে তিনি মেধাবী। খেয়েই চলছেন, কোনো কথা নেই। আব্দুর রহমান আর মাসুদ ভাই খাবার শেষে শুয়ে গেলেন। সবার নজরে তখন তৃপ্তির হাসি!
লেখক: শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ।
জেএমএস/এমএস