অনিয়মিত বিদেশি কর্মীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিয়েছে মালয়েশিয়া। দেশটির সরকার গত ২৭ জানুয়ারি থেকে রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম চালু করেছে।
Advertisement
বৈধতার ক্ষেত্রে অবৈধ বিদেশি কর্মীদের ও নিয়োগকর্তাদের জাল ওয়ার্ক পারমিট সিন্ডিকেট বা কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল।
তিনি বলেছেন, দেশের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়াসে বিদেশি কর্মী নিয়োগের সুবিধার্থে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সরকার বোঝে যে মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায়, কর্মসংস্থানের বেশি চাহিদা রয়েছে। বিশেষত কৃষি, নির্মাণ, উৎপাদনের পাশাপাশি পরিষেবাগুলোর মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে।
যখন আবেদনের পদ্ধতিগুলো শিথিল এবং সরলীকৃত করা হয়, তখন জনগণকে তাদের দেওয়া সুবিধাগুলোর সদ্ব্যবহার করা উচিত।
Advertisement
২৮ জানুয়ারি ইমিগ্রেশন বিভাগ সেলাঙ্গরের ক্লাংয়ে বেশ কয়েকটি অভিযানে পাঁচজন বাংলাদেশি নাগরিক এবং সন্দেহভাজনদের একজনের সঙ্গে বিবাহিত একজন স্থানীয় নারীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়
রোববার (২৯ জানুয়ারি) সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দৈনিক মনিটরিং করেন এবং প্রতিবার নিয়োগকর্তা বা বিদেশি কর্মীদের সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে প্রক্রিয়াটি সহজতর করতে বলা হয়।
এছাড়াও, মালয়েশিয়ায় সম্ভাব্য বিদেশি কর্মীদের বিষয়গুলো ব্যাখ্যা, তথ্য সরবরাহ এবং সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ এবং নেপালের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে।
বিদেশি শ্রম সরবরাহ এবং অস্থায়ী কাজের অনুমতি জালিয়াতির পেছনে একটি সিন্ডিকেটের মূলহোতা বলে মনে করা হয় এমন দুই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তারের বিষয়ে মন্তব্য করার সময় সাইফুদ্দিন এ কথা বলেন।
Advertisement
গত সাত-আট মাস ধরে বিদেশি শ্রম সরবরাহ এবং অস্থায়ী কাজের অনুমতি জালিয়াতির কাজ করে আসছিল ওই সিন্ডিকেট। ভুয়া সিন্ডিকেট রোধে, অভিবাসন বিভাগকে ধন্যবাদ জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) ইমিগ্রেশন বিভাগ সেলাঙ্গরের ক্লাং-এ বেশ কয়েকটি অভিযানে পাঁচজন বাংলাদেশি নাগরিক এবং সন্দেহভাজনদের একজনের সঙ্গে বিবাহিত একজন স্থানীয় নারীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এমআরএম/এমএস