পাবনা সদর হাসপাতালে কর্মরত ইন্টার্ন নার্সকে মারপিট করে আহত করার ঘটনায় দালাল সাদ্দামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২ ফ্রেব্রুয়ারি) দিনগত গভীর রাতে পাবনা সদর থানার ভাড়ারা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার (৩ ফ্রেব্রুয়ারি ) দুপুরে পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করে।
সাদ্দাম পাবনা সদর থানার শালগাড়িয়া এলাকার কুদ্দুস আলীর ছেলে।
এদিকে গ্রেফতার সাদ্দামের বিচারসহ অন্যান্য দাবি জানিয়ে গত চারদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন ইন্টার্ন নার্সরা। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর থেকে তারা আন্দোলন করছেন।
Advertisement
হাসপাতাল সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে পাবনার ইছামতি নার্সিং কলেজের ডিপ্লোমা ইন সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাজা হোসেন (২৫) মেডিসিন ওয়ার্ডের মহিলা ইউনিটে ডিউটিরত ছিলেন। ওইসময় বেশি দামে ইসিজি করা নিয়ে রোগীর এক আত্মীয়ের সঙ্গে হাসপাতালের দালাল সাদ্দাম হোসেনের কথা-কাটাকাটি হয়। এসময় নার্স রাজা হোসেন ওই দালালকে উত্তেজিত না হয়ে হাসপাতালের বাইরে গিয়ে রোগীর সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দালাল সাদ্দাম হোসেন ওই নার্সকে মারধর শুরু করেন। এসময় অন্য নার্সরা বাধা দিতে এলে তাদেরও মারধর করা হয়।
পরে ইন্টার্ন নার্সরা ঘটনার বিচার চেয়ে হাসপাতালের পরিচালক ও সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পাশাপাশি তারা মঙ্গলবার থেকেই কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। বৃহস্পতিবার দালালদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে শহরের প্রধান সড়ক আব্দুল হামিদ রোডে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা। পরে হাসপাতালের ইন্টার্ন নার্সদের সঙ্গে মিছিলে যোগ দেন জেলার বেসরকারি কলেজের ক্লিনিক্যাল ইন্টার্ন নার্সরা।
আন্দোলনরত ইন্টার্ন নার্সদের একজন জাহিদ হোসেন। শুক্রবার দুপুরে তিনি বলেন, আমরা এখনো কর্মবিরতিতে রয়েছি। অভিযুক্ত সাদ্দামের গ্রেফতারের মাধ্যমে আট দফার মধ্যে মাত্র একটি পূরণ হয়েছে। অন্যান্য দাবি-দাওয়া পূরণ হওয়ার পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবো।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Advertisement
এ বিষয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. ওমর ফারুক মীর বলেন, ইন্টার্ন নার্সদের দাবির বিষয়ে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তিনি আন্দোলনরতদের সঙ্গে কথা বলবেন।
আমিন ইসলাম জুয়েল/এসআর/এএসএম