দেশজুড়ে

হামাগুড়ি দিয়ে চলেন রাব্বি, হুইল চেয়ার নিয়ে হাজির ডিসি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের হামাগুড়ি দিয়ে চলা প্রতিবন্ধী মো. রাব্বি হোসেনের (২১) বাড়িতে হুইল চেয়ার নিয়ে হাজির হয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাব্বিদের নরোত্তমপুর গ্রামের আবদুল গণি মুন্সী বাড়িতে গিয়ে হুইল চেয়ার হস্তান্তর করেন তিনি। এসময় রাব্বির পরিবারকে কিছু আর্থিক সহায়তাও করেন জেলা প্রশাসক।

দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রতিবন্ধী রাব্বি হোসেনের কষ্টের কথা জেনে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করেছি। পরিবারটি অসহায় জেনে নগদ অর্থও দিয়েছি। ভবিষ্যতে রাব্বির কর্মসংস্থানে জন্য একটি দোকানের ব্যবস্থা করা হবে।

রাব্বির পরিবার জানায়, জন্ম থেকেই তার দুই পা সরু হওয়ায় উঠে দাঁড়াতে পারেন না। বিভিন্ন সময় চিকিৎসা করালেও সুস্থ হননি রাব্বি। দিনমজুর বাবার পক্ষে ছেলেকে একটি হুইল চেয়ার কিনে দেওয়া সম্ভব হয়নি। গাছ কাটতে গিয়ে দুর্ঘটনায় তিনিও এখন প্রতিবন্ধী। তারপরও টুকটাক কাজ করে যা আয় হয়, তা দিয়ে কোনোমতে পাঁচ সদস্যের সংসার চলে তাদের।

হুইল চেয়ার ও নগদ অর্থ পেয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে রাব্বির মা রৌশন আক্তার বলেন, দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে আমার এই ছেলেকে নিয়ে কষ্ট করেছি। সে জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী। কিন্তু কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। আমি নামাজ পড়ে ডিসি স্যারের জন্য দোয়া করবো।

রাব্বি হোসেনের বাবা মো. মাসুদ বলেন, আমি গাছ কাটতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রতিবন্ধী হয়ে গেছি। ডিসি স্যার দোকানের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন। দোকানের আয় পেলে সংসার চলাতে পারবো। আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ।

প্রতিবন্ধী রাব্বি হোসেন বলেন, আমার আর কষ্ট থাকবে না। আমি হুইল চেয়ারে করে চলাফেরা করতে পারবো। আমার পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ।

এসময় বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসিফ আল জিনাত, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ অধিকারী ও কে এইচ তাসফিকুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. নুর হোসেন মাসুদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা উর্মি, সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন, নরোত্তমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মেহেদি হাসান টিপু উপস্থিত ছিলেন।

ইকবাল হোসেন মজনু/এমআরআর/জিকেএস