একুশে বইমেলা

বইমেলায় নেচে গেয়ে সিসিমপুর উদযাপন শিশুদের

দিন যত যাচ্ছে, জমে উঠছে অমর একুশে বইমেলা। মাসব্যাপী এ মেলা ঘিরে সপ্তাহের প্রতি শুক্র ও শনিবার থাকছে ‘শিশু প্রহর’। মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী শিশু চত্বর। শুক্রবার ছুটির দিনে নেচে গেয়ে সিসিমপুর অনুষ্ঠান উদযাপন করেছে শিশুরা।

মেলার দশম দিন শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের গেটের প্রবেশমুখে শিশু চত্বরে গিয়ে শিশুদের সিসিমপুর অনুষ্ঠান উদযাপনের চিত্র দেখা গেছে।

প্রতি শুক্রবার ও শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায়, বিকেল সাড়ে ৩টায় ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আয়োজন থাকে শিশুদের শিক্ষণীয় সবচেয়ে প্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুরের। মেলার শিশু চত্বরে এই আয়োজন উপভোগ করতে আসে কয়েকশো শিশু। শিশু চত্বরে আনন্দে মেতে ওঠে কোমলমতি শিশুরা। পাশে দাঁড়িয়ে সেই আনন্দ উপভোগ করেন অভিভাবকরাও। আনন্দের ছলে শেখার জন্য টুকটুকি, হালুম, ইকরি আর শিকুদের সঙ্গে দর্শক হয়ে যায় মেলায় আসা শিশুরা। ছন্দে-সুরে ছড়া-গানে সিসিমপুরের এসব চরিত্রগুলোর মাধ্যমে বাচ্চাদের জন্য নানা শিক্ষণীয় বিষয় পরিবেশনায় তুলে ধরা হয়।

আরও পড়ুন: বইমেলায় সিসিমপুর অনুষ্ঠানে নেচে-গেয়ে উল্লাস শিশুদের

রাজধানীর মিরপুর থেকে আসা শিশু ফাতেমা জহির জাগো নিউজকে বলে, টুকটুকি, হালুমদের দেখেছি। সিসিমপুরের অনুষ্ঠান দেখে ভালো লাগছে।

মেলায় আসা শিশু ফয়সাল আহমেদ বলে, অনেক মজা করেছি। সিসিমপুরের বন্ধুদের দেখেছি। তাদের সঙ্গে নেচেছি।

আরও পড়ুন: মেয়েদের আগ্রহ রোমান্টিক উপন্যাসে, ছেলেদের থ্রিলারে

শিশু প্রহরে মেয়েকে নিয়ে আসা রাবেয়া আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিদিন অফিস করতে হয়। মেয়েকে নিয়ে তেমন ঘুরতে যেতে পারি না। ছুটির দিনে বইমেলায় মেয়েকে নিয়ে এসেছি যেন একটু আনন্দ পায়। ভালো লেগেছে। মেয়েকে নিয়ে মেলায় ঘুরবো, বই কিনবো।

বইমেলায় ছেলেকে নিয়ে আসা অভিভাবক আহসান হাবিব বলেন, ছেলেকে নিয়ে বইমেলায় এলাম। এসে দেখি সিসিমপুর চলছে। ভালোই হলো সিসিমপুরটা দেখাতে পেরে। ও অনেকে আনন্দ পেয়েছে। বইমেলা ঘুরে দেখবো, ছেলেকে বই কিনে দেবো।

সিসিমপুরের সমন্বয়ক সাব্বির আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি শুক্র ও শনিবার সিসিমপুরের এ আয়োজন মেলার শেষ শনিবার পর্যন্তহ থাকবে। শিশুদের আনন্দ দিতেই আমাদের এই আয়োজন।

আরএসএম/এমকেআর/জেআইএম