জাতীয়

বাইসাইকেল পেলেন গাজী হিশাম

গাজী হিশাম-উর রশীদ পেশায় সুপ্রিমকোর্টের একজন অ্যাডভোকেট। নিজের গাড়ি থাকলেও যানজটের এই শহরে তিনি কচুক্ষেত থেকে মতিঝিলে প্রতিদিন অফিসে যান সাইকেল চালিয়ে। গাজী হিশামের বাইসাইকেল চালানোর অভিযাত্রা শুরু আজ থেকে বহুদিন আগে, ১৯৭৪ সালে, যখন তিনি নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। সেই থেকে গাজী হিশামের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে রাজধানী ঢাকায় মানুষের সংখ্যা, গাড়ির সংখ্যা ও যানজট। এখন তার বয়স ৫০-এর বেশি। এই বয়সেও প্রতিদিনি তিনি সাইকেল চালাচ্ছেন ২০ কিলোমিটারের বেশি। গাজী হিশাম মনে করেন, এতে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হয়। পাশাপাশি শরীরও থাকে বেশ ঝরঝরে।    তারুণ্যভরা গাজী হিশামের এ যাত্রাকে আরো এগিয়ে নিতে তাকে দুরন্ত ব্র্যান্ডের একটি বাইসাইকেল দিয়েছেন কানাডা প্রবাসী কায়সারুল হক। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীতে নিজের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গাজী হিশামের হাতে সাইকেলটি তুলে দেন কায়সারুল হক।  গাজী হিশাম এ মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটি তার চলার পথে অনুপ্রেরণা যোগাবে। সাইকেল চালানো তার নেশা। বয়সের ফ্রেম দিয়ে সাইকেল চালানো থেকে তাকে বিরত রাখা যাবে না।যানজটের এ নগরীতে সকলকে বাইসাইকেল চালানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এটি পরিবেশবান্ধব, সাশ্রয়ী ও স্বাস্থ্য উপযোগী একটি যান। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন যানযট এড়ানো যাবে অন্যদিকে কর্মঘণ্টা বৃদ্ধি পাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর গাজী হিশাম জানান, মিরপুর থেকে বাসযোগে গুলশান যেতে সময় লাগে পৌনে দু’ঘণ্টা। কিন্তু বাইসাইকেলে যেতে লাগে ৪০ মিনিট। এতে যাতায়াত খরচ ও সময় বেঁচে যায়।সরকারের কাছে নির্বিঘ্নে সাইকেল চালানোর পরিবেশ ও নিরাপদ সড়কের দাবিও জানান এই ইন্সুরেন্স অ্যাটর্নি। তিনি বলেন, বিদেশের মতো বাংলাদেশে পৃথক বাইসাইকেল লেন থাকলে এর ব্যবহার বহুগুণে বেড়ে যাবে।কানাডা প্রবাসী কায়সারুল হক জানান, তিনি এ ধরনের শুভ উদ্যোগের পাশে থাকবেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি। এনএফ/এবিএস