বৈরী আবহাওয়ায় সাগরে ২ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ফলে রোববার (১৯ মার্চ) সকালে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে পর্যটকবাহী কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি।
Advertisement
আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় রোববার বিকেলে ট্রলার-স্পিডবোটে করে টেকনাফের উদ্দেশ্যে সেন্টমার্টিন ছেড়েছে কয়েকশ পর্যটক।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, সকালে নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে প্রশাসন। কিন্তু বেশি বৃষ্টি হয়নি। বেলা ১১টা হতে আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে যায়। এরপরও সেন্টমার্টিনে জাহাজ না যাওয়ায় আগের দিন দ্বীপে রাত্রিযাপনে থেকে যাওয়া প্রায় হাজারখানেক পর্যটক আটকা পড়ে।
পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদ ও কেয়ারি ডাইন অ্যান্ড ক্রুজের ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম বলেন, সাগর উত্তাল এবং ২ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত থাকায় রোববার সকালে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেয় উপজেলা প্রশাসন। আগে বিক্রি করা টিকেট নিয়ে পর্যটকরা নির্ধারিত সময়ে ঘাটে এলেও জাহাজ ছাড়তে না পারায় টিকেটের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধ, আটকা হাজারো পর্যটক
সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা ও ট্যুরিজম ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ জানান, হাজারখানেক পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছিলেন। আমাদের কটেজে অনেক পর্যটক একদিন আবার কোনো পর্যটন দুদিনের জন্য কক্ষ ভাড়া নিয়েছিলেন। অনেকে রোববার ফিরে যাবার কথা ছিল। সমুদ্র উত্তাল থাকায় তাদের রুম ছাড়তে জোর করা হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পর্যটকেরা ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
তারা আরও জানান, বিকেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কোস্টগার্ডের অনুমতি সাপেক্ষে চারটি কাঠের বোট (ফিশিং ট্রলার) ও ১০-১২টি স্পিডবোটে করে কয়েকশ পর্যটক নারী-পুরুষ ঝুঁকি নিয়ে দ্বীপ ছেড়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেন্টমার্টিন যাতায়াত বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলা হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে সেন্টমার্টিন যাতায়াত ফের শুরু হবে।
Advertisement
কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন স্টেশন কমান্ডার লে. রাগীব বলেন, দুপুরের পর থেকে আবহাওয়া নৌযান চলাচল উপযোগী হওয়ায় পর্যটকরা ফিরে যাবার প্রচেষ্টা চালায়। ট্রলার সার্ভিস পরিচালকরা চলাচল উপযোগিতার কথা বলায় কাঠ ও স্পিডবোটে যেতে ইচ্ছুকদের বহনে মৌখিক সম্মতি দেয়া হয়। এরপরই অনেক পর্যটক দ্বীপ ত্যাগ করেছে।
সায়ীদ আলমগীর/আরএইচ/জেআইএম