জাতীয়

এটিএম বুথের টাকা লুট : আদালতে একজনের স্বীকারোক্তি

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকার ডাচ-বাংলার এটিএম বুথের টাকা লুটের ঘটনায় দুইজন গ্রেফতার হলেও আরো ছয়জনকে খুঁজছে পুলিশ। বুথে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করা গেলেও এখনো গ্রেফতার এবং টাকা উদ্ধার করা যায়নি।এদিকে, এ ঘটনায় গ্রেফতার দুইজনের মধ্যে মিন্টু শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। অপরজনের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।শনিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান ও মো. সোলায়মান, জয়দেবপুর থানার ওসি মো. রেজাউল হাসান রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।পুলিশ সুপার জানান, অন্যসময় মানি প্ল্যান্টের লোকজন প্রতিদিন রাত ১০/১১টার মধ্যে এটিএম বুথে টাকা লোড করতে যেতেন। কিন্তু টাকা লুটের ঘটনার রাত আড়াইটা/৩টার দিকে কেন তারা বুথে টাকা লুট করতে গেল এটা রহস্যজনক। আর লুট করে যাওয়ার সময় কেন বুথের গার্ডরা গুলি করলেন না, বাধা দিলেন না এটাতেও রহস্য রয়েছে।শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনায় জড়িত কালিয়াকৈর উপজেলার রাখালিয়াপাড়া এলাকার মিন্টু (২৮) এবং খুলনার পাইকগাছা থানার গদারডোবা এলাকার ইমন (৩৫) দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে শনিবার তাদের গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা টাকা লুটের ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমএ মজিদ বকুল জানান, দুপুরে সিনিয়র  জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম তাহমিনা খানম শিল্পীর আদালতে মিন্টু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আরো তথ্য ও লুটের টাকা উদ্ধার করতে আদালতের কাছে গ্রেফতার ইমনের সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৩ ফেব্রুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে ঢাকার ম্যানি প্লান্ট লিঙ্ক প্রাইভেট লিমিটেডের এটিএম এক্সিকিউটিভ-এর সিকিউরিটি গার্ডদের নিয়ে ৯ জন সদস্য পাঁচ কোটি ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বিভিন্ন এটিএম বুথে টাকা লোড করে এক কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার পাঁচ শত টাকা পিকআপে করে কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকার বুথে লোড করতে যায়।এসময় ১২/১৩ জন ডাকাত অজ্ঞাত নম্বরের পিকআপ যোগে এসে রডসহ বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে টাকা বহনকারী গাড়ির চালক, সিকিউরিটি গার্ড এবং গানম্যানদের একজনকে আহত করে ওই টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ আফজালুল আবেদিন বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।এ ঘটনায় বুথের নিরাপত্তাকর্মীসহ ৯ জনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তাদের কাউকে আটক দেখানো হয়নি বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।                    আমিনুল ইসলাম/এআরএ/আরআইপি