জাতীয়

তিনদিন পর মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা, অভিযানে পুলিশ

রাজধানীর মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড়ে লেগুনা চালাতেন মো. নবী হোসেন ওরফে নুর নবী (৩২)। গত ৪ এপ্রিল রাতে নিখোঁজ হন তিনি। পরদিন ৫ এপ্রিল বিকেলে বসিলা গার্ডে সিটি এলাকায় তুরাগ নদের পাড়ে তার গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তার পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।

এ ঘটনার তিনদিন পর শনিবার (৮ এপ্রিল) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের ভাই মো. আলী হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। এতে ৪-৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলায় হত্যা ও মরদেহ গুমের চেষ্টার অভিযোগ করা হয়।

এদিকে, মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামিদের চিহ্নিত করতে কাজ করছে পুলিশ। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যাকারীদের শনাক্ত এবং গ্রেফতারে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।

শনিবার (৮ এপ্রিল) রাতে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মৃত্যুঞ্জয় দে সজল জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, নিহত আলী হোসেনের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্তের কাজ চলছে।

অন্যদিকে নিহতের ভাই আলী হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমার ভাই নবী হোসেন ওরফে নুর নবী মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড়ে লেগুনা চালাতেন। গত ৪ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে তার মোবাইলে একাধিকবার কল করেও বন্ধ পাই। পরে আমার ভাইকে সব জায়গায় খোঁজ করি। একপর্যায়ে জানতে পারি, ৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন বসিলা ৪০ ফিট রোডের শেষ মাথায় বটতলা রোডে বসিলা গার্ডেন সিটি সাবেদ আলী মোল্লা মসজিদের পাশে রাস্তার ওপর থেকে টেনেহিঁচড়ে আমার ভাইকে নদের পাড়ের দিকে নিয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, পরদিন ৫ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে খবর পাই, বসিলা গার্ডেন সিটির তুরাগ নদের পাড়ে পানিতে একটি মরদেহ পড়ে আছে। আমি ও আমার স্বজনরা মরদেহটি আমার ভাইয়ের বলে শনাক্ত করি। তার মরদেহে দেখা যায়, অর্ধেক গলাকাটা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ক্ষত। আমার ভাইকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ গুম করার জন্য নদীতে ফেলে দেয় আসামিরা। এ ঘটনায় শনিবার মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেছি।

টিটি/এএএইচ