ধর্ম

গরু জবেহের ঘটনা নবুয়তের সত্যতার প্রমাণ

আল্লাহ তাআলা বনি ইসরাইলকে আরো একটি নিয়ামাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেন যা মুসা আলাইহিস সালামের জন্য মুজিযা আর বিশ্বনবীর নবুয়তের সত্যতার প্রমাণ। হত্যাকারী চিহ্নিত করতে গরু জবেহের নির্দেশ এবং তার বর্ণনায় উম্মাতে মুহাম্মাদির জন্য রয়েছে শিক্ষা-নিহত ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে বিভিন্ন বক্তব্য পাওয়া যায়-ক. মুসনাদে ইবনে আবি হাতিমে রয়েছে যে, নিহত ব্যক্তি বনি ইসরাইলের মধ্যে একজন ধনী বন্ধ্যা লোক ছিল, তার কোনো ছেলে-মেয়ে ছিল না। তার উত্তরাধিকার ছিল তারই ভ্রাতষ্পূত্র। উত্তরাধিকার পাওয়ার আশায় সে তাকে হত্যা করে পাশ্ববর্তী এক লোকের উপর হত্যার দোষ চাপিয়ে দেয় এবং নিজেই রক্তপণ দাবি করে।খ. তাফসিরে আবদ ইবনে হামিদে রয়েছে যে, বনি ইসরাইলের মধ্যে সন্তানহীন একজন ধনী ব্যক্তি ছিল। তার শুধামাত্র একজন নিকটাত্মীয় ছিল। সেই ছিল তার সম্পদের উত্তরাধিকার। নিকটাত্মীয়ই তাকে হত্যা করে রাজপথে ফেলে রাখে এবং মুসা আলাইহিস সালামের কাছে বিচার দাবি করে।গ. আল্লামা সুদ্দী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, বনি ইসরাইলেল একজন ধনী ব্যক্তি ছিল, যার কোনো ছেলে সন্তান ছিল না। তার একটি মেয়ে এবং একজন ভ্রাতুষ্পুত্র ছিল। ভাতিজা চাচার নিকট তার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে চাচা তা প্রত্যাখ্যান করে। সুতরাং সে শপথ করে বলে, নিশ্চয় আমি আমার চাচাকে হত্যা করে তার ধন-সম্পদ হস্তগত করবো এবং তার মেয়েকে বিয়ে করে নেবো। অতপর কৌশলে চাচাকে হত্যা করে বনি ইসরাইলিদের ভালো লোকদের বসতরি সামনে লাশ ফেলে রাখে এবং তাদের দোষারোপ করে।আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী বনি ইসরাইল অনেক হঠকারিতার পর গরু জবাই করে। অতপর তার গোশত দ্বারা মৃত ব্যক্তিকে আঘাত করা হয়। আল্লাহর হুকুমে মৃত জীবিত হয়ে তাঁর হত্যাকারীর (ভাতিজা/নিকটাত্মীয়) পরিচয় বলে দেয়। অতপর সে আবার মৃত্যু বরণ করে।বিশ্বনবীর দ্বারা বনি ইসরাইলের যুগের এ সকল ঘটনার বর্ণনা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সত্যতার প্রমাণ বহন করে। সুতরাং বিশ্বনবীর আনীত সকল হুকম-আহকাম বিনাবাক্যে গ্রহণ করাই ঈমানের দাবি। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাঁর বিধি-বিধান মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/আরআইপি