বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস বিক্রয়ডটকম জাতিসংঘের নারীর ক্ষমতায়ন নীতিমালায় (ডব্লিউইপি) স্বাক্ষরকারী আন্তর্জাতিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অনলাইন কোম্পানিগুলোর ‘হি ফর সি’ আন্দোলনকে বাস্তবায়নের অঙ্গিকার নিয়ে জেন্ডার ইকুয়ালিটির জন্য জাতিসংঘ ‘নারী-প্রবর্তিত সংহতি’ ক্যাম্পেইন শুরু করে।ইউএন ওমেন এবং ইউএন গ্লোবাল কমপ্যাক্ট-এর সহযোগিতায় ২০১০ সালের মার্চ থেকে ‘নারীর ক্ষমতায়ন নীতিমালা’ কাজ শুরু করে, যাতে করে বিভিন্ন প্রেক্ষিতে উদীয়মান বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ এবং সরকার এ নীতিমালা মেনে চলতে পারে। এ নীতিমালা বিভিন্ন কর্মস্থল, মার্কেটপ্লেস এবং কমিউনিটিতে ব্যবসায়িক নির্দেশিকা হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠন যেমন আইএফসি, বিএনপি পরিবাস, সিমেনটিক এবং ভ্যারিতাসের মতোই বিক্রয়ডটকমও জাতিসংঘের নারীর ক্ষমতায়নের নীতিমালা ক্যাম্পেইনে যুক্ত হলো।এই ক্যাম্পেইনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর বিক্রয়ডটকম নারী কর্মীর সংখ্যা ২৬ শতাংশ থেকে ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি করে পুরুষ-নারী কর্মীর অনুপাত ৬০:৪০ নিশ্চিত করার মাধ্যমে ‘হি ফর সি’ প্রতিশ্রুতি প্রায় পূরণ করেছে। ক্যাম্পেইনের অন্য লক্ষ্যগুলো যেমন; নারী কর্মীদের জন্য পরিবহন সুবিধা এবং জেন্ডার সংবেদনশীলতার প্রশিক্ষণ ইতোমধ্যেই বাস্তবায়ন করেছে। ইউএন ওমেন-এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিক্রয়ডটকম-এর কর্মস্থলের বৈচিত্রতা এবং কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে।বিক্রয়ডটকম-এর মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক (এইচআর) রেহেনুমা ইসলাম বলেন, “জেন্ডার ইকুয়ালিটির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে যে আন্দোলন চলছে তাতে অংশগ্রহণ করার কারণে ইউএন ওমেন একটি কোম্পানির সার্বিক বিষয়ের মূল্যায়নের সুযোগ পেয়েছে। সেই সঙ্গে গুরুত্বপুর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণও নিশ্চিত করেছে। এতে নারীরা আগের চেয়ে কাজের প্রতি বেশি করে অনুপ্রাণিত হচ্ছে। আমি আশা করি যে, বাংলাদেশের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও আমাদের এ উদ্যোগ থেকে অনুপ্রাণিত হবে এবং জেন্ডার ইকুয়ালিটি আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখবে।”ইউএন ওমেন এর কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ক্রিস্টিন হান্টার বলেন, “আমরা বিক্রয়ডটকম-কে নারীর ক্ষমতায়ন নীতিমালায় স্বাক্ষরকারীদের তালিকায় পেয়ে আনন্দিত। এটা জেনে আমরা আরও আনন্দিত হয়েছি যে, বিক্রয়ডটকম নারীর ক্ষমতায়ন নীতিমালার ধারাগুলো সচেতনভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। আমরা বিশ্বাস করি, ইউএন ওমেন-এর নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি শক্তিশালী ভবিষ্যত গড়া সম্ভব এবং সেজন্য অর্থনীতির সব খাতকে অংশ গ্রহণ করা দরকার। আমরা একটি দেশের সার্বিক টেকসই উন্নয়ন এবং মানবাধিকারের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে তা অর্জন করে নারী-পুরুষ, পরিবার-সমাজ এবং ব্যবসায়িক উৎকর্ষতা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।”আরএম/বিএ