পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল হোসেন বলেন, ২০১০ সালের ধসের পর আইনের অনেক সংস্কার হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তার সবগুলো বাস্তবায়ন হলে বাজার আরো স্থিতিশীল হতো। বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মোবাইলের মাধ্যমে শেয়ার লেনদেনের ‘ডিএসই মোবাইল’ উদ্বোধনকালে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, ২০১০ সালের পর অনেক সংস্কার হয়েছে। বিশেষ করে পাববলিক ইস্যু নীতিমালা সংস্কার, তালিকাভুক্ত কোম্পানির সুশাসন নিশ্চিত করতে করপোরেট গভর্নেন্স গাইডসহ অনেক বিধি-বিধান প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু এখনও এসব আইন সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। আমরা ২০১০ সালের পরে যেসব আইন সংস্কার করেছি তার ফল রাতারাতি ভোগ করা যাবে না। পরিশ্রমের ফল ধীরে ধীরে পেতে হয়। তাই বাজার স্থিতিশীলতার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। আইপিও অনুমোদন নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএসইসি আইন মেনে আইপিও অনুমোদন দিচ্ছে। আইপিও অনুমোদনে এখন পর্যন্ত আইনের কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটেনি। তারপরও অনেকে আইপিওতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার মূল্য নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছে। এসব তথ্যে কোম্পানির ঘোষিত বোনাস লভ্যাংশ আমলে নিচ্ছে না। ফলে বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্ত হয়ে বাজারের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন। তাই বিনিয়োগকারীদের এসব গুজবে কান না দিয়ে জেনে বুঝে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন তিনি। তিনি জানান, বিএসইসি বিনিয়োগকারীদের সচেতনতার লক্ষ্যে শিগগিরই দেশব্যাপি ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি প্রোগ্রাম চালু করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দুটি কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে ডিএসইর পরিচালক ওয়ালিউল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. স্বপন কুমার বালা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসআই/এসএইচএস/এবিএস